রাজ্য জুড়ে বিএসএনএলের পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়ার ষোলো আনা দায় সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তাদের ঘাড়েই চাপালেন সংস্থার কর্মী সংগঠন।
শুক্রবার মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের রাজ্য কমিটির সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে লিখিত সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে স্পষ্টতই অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্যে গত এক বছরে ল্যান্ডলাইন, মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড-সব মিলিয়ে ৬০ হাজার গ্রাহক বিএসএনএল ছেড়েছেন। আয় কমেছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। অথচ সংস্থার পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের কর্তারা সম্পূর্ণ উদাসীন। পরিষেবা উন্নতির জন্য কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁদের কাছে। সাধারণ গ্রাহক ছাড়াও হাইকলার কাস্টমারদেরও পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বিএসএনএল। প্রশ্ন করলেও উত্তর মেলে না। প্রশাসন বলে কিছু আছে বলে মনে হয় না। নিচুতলার অফিসারেরা নির্দেশ মানেন না। মানুষ পরিষেবা ছেড়ে দিচ্ছে। তবু প্রশাসন নিষ্ক্রিয়।
রঘুনাথগঞ্জের পুর লজে দু’দিনব্যাপী ওই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসান। সম্মেলনে সারা রাজ্য থেকে ৯০ জন প্রতিনিধি যোগ দেন। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক অনিমেষ মিত্র বলেন, ‘‘বেসরকারি সংস্থাগুলো যখন ৪জি পরিষেবা দিয়ে গ্রাহক ধরতে উদ্যোগী তখন মান্ধাতা আমলের পরিকাঠামো আঁকড়ে পড়ে রয়েছে বিএসএনএল।’’ পুরোনো কেবলের ফলে ইন্টারনেট পরিষেবা বিপর্যস্ত। কলড্রপ বাড়ছে। গ্রাহকেরা বিএসএনএল ছাড়ছেন।
পশ্চিমবঙ্গে ১০ হাজার কর্মীর সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজারে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। যাঁরা রয়েছেন তাঁরাও ঘোর সংকটের মুখে। অথচ সরকারি সংস্থা হিসেবে পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রচুর সুযোগ, সুবিধা রয়েছে বিএসএনএলের। কিন্তু তা যথাযথ ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থাকে ৩৩০০ কোটি টাকার কর ছাড় দিয়েছে। অথচ পরিকাঠামো উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে না বিএসএনএলকে।’’