আগুন নেভাতে ব্যস্ত দমকলকর্মী: বুধবার বহরমপুরে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
মোবাইল পরিষেবা অনেকটা স্বাভাবিক হলেও জেলা জুড়ে বিএসএনএল’র ল্যান্ডলাইন, ব্রডব্র্যান্ড ও ইন্টারনেটের লিজ লাইন পরিষেবা বৃহস্পতিবারও ব্যাহত হল।
ফলে এক দিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলো, সঙ্গে দোসর হল লিজ লাইন সমস্যা যার জেরে লিঙ্ক না থাকায় এ দিনও ব্যাঙ্কে ভোগান্তি পোহালেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার গভীর রাতে বহরমপুরে বিএসএনএলের সুইচ ঘরে আগুন লেগে পুড়ে যায়। যার ফলে জেলাজুড়ে বিএসএনএলের সমস্ত পরিষেবা বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। বুধবার বিকেলের পর বহরমপুর-সহ জেলার কিছু এলাকায় মোবাইল পরিষেবা চালু করা গিয়েছে।
বিএসএনএলের এজিএম এসকে পাল বলেন, “বুধবার বিকেল থেকে মোবাইল পরিষেবা সচল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকায় মোবাইল পরিষেবা স্বাভাবিক করা গিয়েছে। কিছু ব্রডব্র্যান্ড ও কিছু ব্যাঙ্কের ইন্টারনেটের (লিজ লাইন) স্বাভাবিক করা গিয়েছে। বাকি পরিষেবা স্বাভাবিক হবে দ্রুত।”
বহরমপুর একচেঞ্জের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে আসেন সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার এস কে দেব-সহ একাধিক আধিকারিক। তাঁরা বৃহস্পতিবার দফায় দফায় সংস্থার বহরমপুরের আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করেন। কিভাবে পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিএসএনএলের এক আধিকারিক জানান, আগুনে পুড়ে প্রচুর যন্ত্রপাতির ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনও হিসেব করে ওঠা যায়নি।
ল্যান্ডফোন বন্ধ থাকায় এ দিনও অনেকেই জেলাশাসকের অফিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি অফিসে ফোন করে যোগাযোগ করতে পারেননি। এ ছাড়াও ইন্টারনেট পরিষেবা অচল থাকায় অনেক ব্যাঙ্কে বিশেষত গ্রামীণ এলাকার ব্যাঙ্কগুলিতে অচলাবস্থা ছিল। গ্রাহকরা গিয়ে হয়রানির স্বীকার হয়েছে। বিএসএনএলের সমস্যার জেরে বহরমপুর থানার ল্যান্ডফোন বুধবার থেকে অচল হয়ে রয়েছে। বহরমপুর সৈদাবাদের মহারাজা নন্দকুমার রোড এলাকায় বুধবার গভীর রাতে কয়েকজন মুখে কাপড় বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। ওই এলাকার বাসিন্দা দেবর্ষি রায়চৌধুরী বহরমপুর থানায় একাধিকবার ফোন করেন। কিন্তু যোগাযোগ করতে পারেননি।
লালগোলার ভবানিপুরের বাসিন্দা ইমদাদুল শেখ বৃহস্পতিবার সকালে রাজারামপুরে একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় টাকা তুলতে এসেছিলেন। এ দিন তিনি টাকা তোলার জন্য প্রায় দু’ঘন্টা ধরে ব্যাঙ্কে বসেছিলেন। কিন্তু লিঙ্ক না থাকায় টাকা তুলতে পারেননি। মুর্শিদাবাদের লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অমিত সিংহ বলছেন, “বিএসএনএলের নেট অচল থাকায় ব্যাঙ্কে পরিষেবা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।’’