—নিজস্ব চিত্র।
স্টিলের লম্বা টিফিন কৌটোয় ডাল, সবজি, বেগুন পোড়া আর ভাত। পাট পচানোর কাজ করা দুই ছেলের জন্য কাঁটাতারের ও পারে দুপুরের খাবার নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা। সন্দেহ হওয়ায় টিফিন কৌটোর খাবার বার করে তল্লাশি চালাতেই ভিমড়ি খাওয়ার জোগাড় বিএসএফ জওয়ানদের! খাবারের নীচে লুকানো বিপুল পরিমাণ সোনা। এর পর তল্লাশি চালিয়ে মোট ১৬টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক এক কোটি টাকারও বেশি। ওই ব্যক্তিকে আটক করে কৃষ্ণনগর শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার তাঁকে বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ফতেপুর সীমা চৌকি এলাকায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে খবর পেয়ে কাঁটাতার পেরোনো সকলের তল্লাশি করা শুরু করে বিএসএফ। নদীয়ার হাঁসখালি থানা এলাকার বাসিন্দা দৌলত বিশ্বাসের খাবারের টিফিন কৌটো পরীক্ষা করেই মেলে বিপুল পরিমাণ সোনা। উদ্ধার হয় ১৬টি সোনার বিস্কুট। বিএসএফের দাবি, উদ্ধার হওয়ার সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি পনেরো লক্ষ টাকা। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিএসএফ জানতে পেরেছে, ১০০০ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশের এক ব্যক্তির কথা মতো সোনাগুলি পাচারের চেষ্টা করছিলেন। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় শুল্ক দফতর। রবিবার নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে পেশ করা হবে ধৃত দৌলত বিশ্বাসকে।
দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি একে আর্য বলেন, ‘‘ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী একই দিনে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে দু’টি বড় ধরনের পাচারের প্রচেষ্টা আটকে দিয়েছে। ভবিষ্যতে বিএসএফের পক্ষ থেকে আরও পড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’