হস্তান্তর। সীমান্তে। নিজস্ব চিত্র
ফের সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরা পড়লেন ৪ বাংলাদেশি। এ বারে ভগবানগোলার লাভানগোলা সীমান্ত পথে রবিবার দুপুরে বাংলাদেশের রাজসাহী জেলার গোদাগারী থানার চরনৌসেরা গ্রাম থেকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে ৪ জন বাংলাদেশি। এদের তিন জনের বয়স ১৬ থেকে ১৭ বছর। এক জন ছিলেন ২০ বছরের মহম্মদ আবল হোসেন।
বিএসএফের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানায়, তাদের পরিবার আর্থিক ভাবে প্রচণ্ড অভাবের মধ্যে রয়েছে। তাই তারা চাকরির জন্য ভারতের বেঙ্গালুরুতে (কর্নাটক) যেতে চাইছিল। একটি ভাল চাকরি পাওয়ার জন্য তারা ভগবানগোলার বলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হেলেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার মদতেই কাজের জন্য চার জনই অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসার চেষ্টা করছিল। আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করার সময় কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের হাতে তারা ধরা পড়ে যায়।
বিএসএফ জানায়, চার বাংলাদেশী যুবকের বক্তব্য পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করে জানতে পারে, চার জনের মধ্যে তিন জনই নাবালক, যাদের সীমান্তে বা অন্য কোথাও কোনও অপরাধমূলক রেকর্ড পাওয়া যায়নি। তাই মানবিক ও সদিচ্ছার ভিত্তিতে চার বাংলাদেশি নাগরিককে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কাছে রবিবার সন্ধ্যাতেই হস্তান্তর করা হয়। ৩৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার সতীশ কুমার ডোগরা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। ধৃতদের অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং উভয় দেশের বর্ডার গার্ডিং ফোর্সের সহযোগিতা ও সদিচ্ছা বজায় রেখে তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শনিবারও জেলার অন্য একটি সীমান্তে ৪ জন বাংলাদেশি ধরা পড়ে বিএসএফের হাতে ভারতে ঢোকার সময়। তাদের মধ্যেও তিন জন ছিল বছর ১৪ বয়সের নাবালক। তারাও ভারতে আসছিল জীবিকার খোঁজে। ধরা পড়ার পর তাদের বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়।