স্কুলের আবাসনের ভিতরে এক ছাত্রকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল স্কুলেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতে বেশ কিছু অভিভাবক এ দিন স্কুলে বিক্ষোভ দেখায়। অভিযুক্ত ওই কর্মীকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে অভিভাবকদের তরফে চাপড়া থানার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। জেলার পুলিশ সুপার ভরতলাল মিনা বলেন, ‘‘কিছু অভিভাবক মিলে মাসপিটিশন জমা দিয়েছেন। আমরা গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।’’
অভিভাবকদের অভিযোগ, কিছু দিন আগে চাপড়ার সীমানগরের কাছে ওই স্কুলের এক কর্মী আবাসনের এক ছাত্রকে যৌন নির্যতন করে। বিষয়টি আবাসনের অন্য ছাত্রদের কাছ থেকে তারা জানতে পারেন অভিভাবকেরা। কিন্তু ছেলেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তারা কিছু বলেননি। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হলে তাঁরা বুধবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। অভিভাবকদের দাবি, তখন প্রিন্সিপাল উল্টে ছেলেদের নামে নানা মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরেন। পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রের বাবার অভিযোগ, ‘‘প্রিন্সিপাল সবটাই জানতেন। তিনি ছাত্রদের বাইরের কাউকে না বলার জন্যে ভয় দেখাতেন।’’ তাঁরা অভিযুক্ত কর্মীর পাশাপাশি প্রিন্সিপালেরও শাস্তি দাবি তুলেছেন।
নিগৃহীত ছাত্রের সহ আবাসিক এক ছাত্রের মা বলেন, ‘‘আমার ছেলেও বাড়িতে ফিরে কথাটা বলেছিল। তবে ওদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিষয়টি চেপে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন ছেলেদের নামে উল্টো দোষারোপ শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। এখন আর চুপ করে থাকা যায় না।’’
বুধবার বিকেলেই অভিভাবকরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় তিনশো জন। স্কুলের আবাসনে থাকে ২১ জন ছাত্র। আচমকা এমন অভিযোগ সামনে আসায় বিব্রত স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রিন্সিপালের অবশ্য দাবি, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ। পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্র বরং হস্টেলের পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। ওই ছাত্রটি স্কুলের উচুঁ ক্লাসের ছাত্রীদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে অভিভাবককে ডেকে বলে দিয়েছি আমরা ওই ছাত্রকে হস্টেলে রাখব না।’’ তাঁর অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষকে চাপে রাখতেই কিছু অভিভাবক পরিকল্পিত ভাবে এমনটা করছে।
স্নাতক পাঠক্রম চালু। বৃত্তিমূলক স্নাতক পাঠক্রম চালু হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কলেজে। কিন্তু এই পাঠক্রমের ভবিষ্যত্ কী? এই বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দিতেই বুধবার এক কর্মশালার আয়োজন করা হল বেলদা কলেজে। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালাটি হয়। বেলদা কলেজে এ বার স্নাতক স্তরে বৃত্তিমূলক যে পাঠক্রমটি চালু
হয়েছে তার নাম ‘থিয়েটার অ্যান্ড স্টেজ ক্রাফট’।
এ বিষয়ে পড়লে ছাত্রছাত্রীরা ভবিষ্যতে কোন পথে যেতে পারেন সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শুভব্রত সিংহ রায়। এ ছাড়াও নাট্যকার কুন্তল বসু, বেলদা কলেজের অধ্যক্ষ মানবেন্দ্রনাথ মণ্ডলও উপস্থিত ছিলেন। অধ্যক্ষ বলেন, “চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই পাঠক্রম চালু হয়েছে। প্রথম বর্ষ ফলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম। এই পাঠক্রমের পরও যে ফাইন আর্টস নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়া যায়, এ সম্বন্ধে ছাত্রছাত্রীদের সামনে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন বক্তারা।”