প্রতীকী ছবি।
প্রেমের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল অনেক দিন ধরেই। বেশ কয়েক বার ঝামেলাও হয় যুগলের মধ্যে। এ সবের মধ্যেই নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হল প্রেমিকের দেহ। বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের নওদা থানার আমতলা এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম নির্মল পাল (১৯)। পরিজনদের দাবি, আত্মঘাতী হওয়ার আগে শেষ বার প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথাও বলেছিলেন তরুণ!
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের একটি বেসরকারি কলেজে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন নির্মল। আমতলা বাজারে তাঁর বাবার হার্ডওয়্যারের একটি দোকান রয়েছে। বহরমপুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পড়াকালীন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নির্মল। পরে এই সম্পর্ক মেনেও নেয় তরুণীর পরিবার। তবে কোনও একটি কারণে কয়েক দিন ধরেই দু’জনের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল। যার জেরে নির্মল আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে দাবি পরিবারের।
নির্মলের বাবা নিমাই পাল জানান, বুধবার বাড়িতে ছেলে আর তিনিই ছিলেন। মাসির বাড়ি গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। খাওয়াদাওয়া সেরে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ নিজের ঘরে ঘুমোতে চলে যান নির্মল। তার কিছু পরেই বাড়িতে ফোন করে ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চান মা। নির্মলকে ডাকতে গিয়ে বাবা দেখেন, ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরেও নির্মল সাড়া দেওয়ায় দরজা ভেঙে ফেলেন তাঁর বাবা। ভিতরে ঢুকে দেখেন, সিলিং থেকে ঝুলছে ছেলের দেহ! চিৎকার-চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। নির্মলকে আমতলা গ্রামীণের হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
নির্মলের বন্ধু রাজা দাসের দাবি, বুধবার রাতে প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছিলেন নির্মল। তাঁর কথায়, ‘‘নির্মল অনেক দিন ধরেই প্রেম করছিল। মাঝে দু’জনের ঝগড়া চলছিল বলে শুনেছি। বুধবার রাতে ভিডিয়ো কলও করে প্রেমিকাকে। তার পরেই নাকি সুইসাইড করেছে!’’
বাবা নিমাই বলেন, ‘‘আমি বলেছিলাম, তোর যদি কোথাও সম্পর্ক থাকে, বিয়ে করে নিয়ে আয়। কেন নিজেকে শেষ করল, বুঝতে পারছি না।’’
বৃহস্পতিবার নির্মলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।’’