প্রতীকী ছবি।
আশ্রম চত্বর থেকে শিষ্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার তেহট্টে। শুক্রবার সকালে কড়ুইগাছির ওই আশ্রম থেকে প্রশান্ত মিস্ত্রি (৪০) নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার পরেই আশ্রমে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, প্রশান্তকে খুন করা হয়েছে। তার পরিকল্পনায় আশ্রমিকরাই জড়িত। অভিযোগ উঠেছে প্রশান্ত বৈরাগ্য, তাঁর স্ত্রী-সহ আরও এক আশ্রমিককের বিরুদ্ধে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় তেহট্ট থানার পুলিশ।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার (গ্রামীণ) কৃষাণু রায় বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তিন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে জনরোষ থেকে।"
স্থানীয় সূত্রে খবর, কড়ুইগাছি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ওই আশ্রমে দীর্ঘ দিন ধরেই প্রশান্ত ও তাঁর পরিবারের যাতায়াত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলেও আশ্রমে যান প্রশান্ত। তার পর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকেরা আশ্রমে গিয়ে জানতে পারেন, প্রশান্ত রাত ৮টা নাগাদই আশ্রম থেকে বেরিয়ে যান। পরিবার সূত্রে দাবি, এক মহিলা আশ্রমিকই জানিয়েছেন, আশ্রমের পিছনের আমবাগানে প্রশান্ত নাকি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন! সেই মতো আমবাগান থেকে প্রশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। খুনের অভিযোগ তুলে পলাশি-বেতাই সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। আশ্রমিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁদের গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয়দের দাবি, আশ্রমের অনেক গোপন কথা জেনে গিয়েছিলেন প্রশান্ত। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। আশ্রম এলাকার বাসিন্দা আশিস হালদার বলেন, ‘‘অভিযুক্ত বৈষ্ণবী অনেকের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। সেই সব কথা যাতে বাইরে না বেরোয়, তাই ওঁরা সবাই মিলে প্রশান্তকে খুন করেছেন।’’ যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গ্রেফতার হওয়া আশ্রমিক প্রশান্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এ সবের কিছুই জানি না। আমাদের এখানে অনেকেই আসেন। এখানে এসে যদি কেউ আত্মহত্যা করেন, আমরা কী করতে পারি!’’