নিজস্ব চিত্র
জনসভা শেষে সব মাঠেরই একই দশা হয়। তা সে ব্রিগেড হোক কিংবা নবদ্বীপের চটির মাঠ। সোমবার সেই চটির মাঠ পরিষ্কার করতে নামলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।
শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার জনসভা এবং ‘পরিবর্তন যাত্রা’র পরের দিন মাঠ দেখে আঁতকে উঠেছিলেন খেলুড়ে এবং প্রাতর্ভ্রমণকারীর দল। গোটা মাঠ জুড়ে ছেয়ে অসংখ্য প্লাস্টিক প্যাকেট। উত্তুরে হাওয়ায় পাকিয়ে পাকিয়ে উড়ছে পাতলা প্লাস্টিক।
সে দিন বিজেপির তরফে জনসভায় পাউচ প্যাকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বস্তা বস্তা প্যাকেটবন্দি জল মাঠ জুড়ে রাখা ছিল। জল খেয়ে আগত কর্মী-সমর্থকেরা যথারীতি মাঠেই ফেলেছেন পাউচ। এ দিন দল সাফাই অভিযানে নামে গেরুয়া বাহিনী। দুপুর ১২টা থেকে টানা কয়েক ঘণ্টা ঝাড়ু দিয়ে প্লাস্টিক কুড়িয়ে মাঠের হাল ফেরানো হয়। বিজেপির নবদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক কমল রায় বলেন, “আমরা এ দিন বড়-বড় বস্তার পনেরো বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করেছি। সভা নির্দিষ্ট হওয়ার দিন থেকেই আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম, মাঠ যে ভাবে নিয়েছি যতটা সম্ভব সে ভাবেই ফিরিয়ে দেব। সে কথা মাথায় রেখেই এই কর্মসূচি।”
বিজেপির তরফে জানানো হয়, রবিবারেই মাঠ সাফ করার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তখনও মাঠে প্যান্ডেল খোলা সম্পূর্ণ হয়নি। দাঁড়িয়ে ছিল লরি। তাই কাজ করা যায়নি। নদিয়া উত্তর সাংগঠিনক জেলায় পরিবর্তন যাত্রার আহ্বায়ক নবীন চক্রবর্তী বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে জনসভা করার অধিকার যেমন সকলের আছে, তেমন যাঁরা ওই মাঠ সব সময়ে ব্যবহার করেন তাঁদেরও অধিকার আছে সুন্দর পরিচ্ছন্ন মাঠ পাওয়ার। তাই আমরা ‘স্বচ্ছ ভারত’ কর্মসূচি মেনে মাঠ সাফ করেছি। আগামী দিনে বিজেপি যেখানে যত সভা করবে, পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় সে দিকে আমরা নজর রাখব। এ দিন প্রায় ২০০ ঝুড়ি আবর্জনা আমরা পরিষ্কার করেছি।”
মাঠের অন্য দিকে ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প চালান ‘নবদ্বীপ শচীন-সৌরভ ফ্যানস ক্লাব’-এর অশোক চক্রবর্তী, অরুণাভ রায়েরা। তাঁরা বলেন, “মাঠে প্রচুর বাঁশের খুঁটির গর্তও আছে। সেগুলোও বুজিয়ে দিলে ভাল হয়। রবিবার নবদ্বীপের সরকার পাড়ার অন্য একটি মাঠে তৃণমূলের জনসভার জন্য তৈরি হওয়া গর্তও এ দিন পর্যন্ত বোজানো হয়নি।