central forces

ভোট পর্যন্ত বাহিনীর দাবি

যে ভাবে পুলিশের উপস্থিতিতে মুর্শিদাবাদের একাধিক স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে, তাতে রাজ্য পুলিশের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া নেতৃত্বের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:১১
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী সরে গেলে আর সংঘর্ষ হবে না, এমন নিশ্চয়তা নেই। তাই দলীয় নেতাদের একাংশ চাইছেন, বিধানসভা নির্বাচন না-হওয়া পর্যন্ত মানুষের মনে ভরসা জোগাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক উপদ্রুত এলাকায়।

যে ভাবে পুলিশের উপস্থিতিতে মুর্শিদাবাদের একাধিক স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে, তাতে রাজ্য পুলিশের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া নেতৃত্বের। লোকসভার বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদের কথায়, “হামলাকারীদের কার্যত খোলা ছুট দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। সামান্য বাধাটুকুও দেওয়া হয়নি। তাই এক বার কেন্দ্রীয় বাহিনী সরে গেলেই ফের হামলার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষেরা।” কোনও উপদ্রুত স্থানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা বা তাদের দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রই নেয়। এ ক্ষেত্রেও তেমনই সিদ্ধান্ত চাইছেন বিজেপি নেতারা। দলের বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান বলছেন, “স্থানীয় মানুষ চাইছেন, উপদ্রুত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়া হোক। তাতে মানুষ বল-ভরসা পাবে।”

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একটি দলকে মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকাগুলি ঘুরে দেখার অনুরোধ জানিয়ে ওই কমিটির চেয়ারম্যান রাধামোহন দাস আগরওয়ালকে আজ একটি চিঠিও দিয়েছেন সৌমিত্র।

চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কমিটি ওই সফর করলেই হিংসার প্রকৃত কারণ সামনে উঠে আসবে। ওই হিংসার তদন্তের অগ্রগতি কতটা হয়েছে, তা জানতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও মুর্শিদাবাদের এসপি-কে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সামনে তলবের অনুরোধ করেছেন তিনি। মানবাধিকার কমিশনের পরে এ বার জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি দলও আগামী শুক্র ও শনিবার মালদহ ও মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে। নেতৃত্বে থাকবেন কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রহাটকর। বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং দুই জেলার পুলিশকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।

সংশোধিত ওয়াকফ আইন সংসদে পাশ হলেও পশ্চিমবঙ্গে তিনি তা প্রয়োগ হতে দেবেন না বলে গোড়া থেকেই মুসলিমদের আশ্বস্ত করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় মুখ্যমন্ত্রীর মতো সাংবিধানিক পদে আসীন কেউ এই ধরনের ‘অসাংবিধানিক’ দাবি করতে পারেন না বলে গত কালই সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন