৩৭০ বিলোপ: বিকেলে কৃষ্ণনগরে বিজেপির উল্লাস। —নিজস্ব চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করার ঘোষণা হতেই উল্লাসে রাস্তায় নেমে পড়ল বিজেপি। বামেরা ইতিমধ্যে সরাসরি এই পদক্ষেপকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছে। কিন্তু সোমবার রাত পর্যন্ত তারা নদিয়ার পথে নেমে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিতে পারল না। আর তৃণমূল কার্যত সময় নেওয়ার পন্থা নিয়েছে।
সোমবার বিকেলে রানাঘাটে বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার কার্যালয়ে ছিল উৎসবের পরিবেশ। উপস্থিত ছিলেন দলের নদিয়া দক্ষিণ জেলা সভাপতি মানবেন্দ্রনাথ রায়-সহ অন্য নেতারা। দফতরের সামনে আতসবাজি, ঢাকঢোল নিয়ে উল্লাস শুরু হয়ে যায়। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জীবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন নেতারা।
মানবেন্দ্রের বক্তব্য, “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যে জন্য আত্মবলিদান দিয়েছেন— এক দেশ এক নিশান এক বিধান। আজ তাঁর আত্মাহুতি সার্থক হল। তাঁর সেই লড়াই সফল হওয়ায় বিজেপির সকল কর্মী এবং সাধারণ মানুষ খুশি। তার ঢেউ দিল্লি থেকে এখানেও এসে পৌছেছে।”
সিপিএম এবং সিপিআই-সহ বাম দলগুলি এ দিনই দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। জেলাতেও পথে নামার তোড়জোড় শুরু করেছে সিপিএম। এ দিন মুজফ্ফর আহমেদের জন্মদিন পালিত হয়েছে জেলার নানা জায়গায়। সেই সঙ্গেই ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রতিবাদে পথে নামার নির্দেশ দেওয়া হয় দলের সিপিএমের জেলা কমিটির তরফে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুমিত দে বলেন, “দলের সমস্ত এরিয়া কমিটিগুলিকে ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রতিবাদে সামিল হতে বলা হয়েছে। প্রতিবাদ মিছিল করা হবে।”
তবে এ দিন বিকেল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়। তার জেরে অনেক জায়গাতেই মিছিল সময়ে শুরু করা যায়নি। তবে বৃষ্টির মধ্যেই সন্ধ্যায় তাহেরপুরে প্রতিবাদ মিছিল করে সিপিএম। সুমিত বলেন, “আগামী দিনের কর্মসূচী দলের মধ্যে আলোচনা করে স্থির করা হবে।” আজ, মঙ্গলবার জেলা বামফ্রন্টের বৈঠক বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে তিনি জানান।
তবে তৃণমূল নেতারা আপাতত এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করব।’’