ভিত্তিহীন নালিশ:তৃণমূল

সিপিএম প্রার্থীর বাড়ি ঢুকে হামলা

যেমন সুতি ১ ব্লকে বিরোধীরা বেশির ভাগ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁরা যাতে ভোটের প্রচারে নামতে না পারেন, তার জন্য তৃণমূলের লোকজন বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। 

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৮ ০২:১৬
Share:

কোথাও সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, কোথাও ফ্লেক্স-ব্যানার ছেঁড়া। যে সব জায়গায় লড়াইয়ের ছিটেফোঁটা অস্তিত্বও আছে, সেই সব জায়গাতেই ঘটনা ঘটছে বেশি।

Advertisement

যেমন সুতি ১ ব্লকে বিরোধীরা বেশির ভাগ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁরা যাতে ভোটের প্রচারে নামতে না পারেন, তার জন্য তৃণমূলের লোকজন বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নয়া বাহাদুরপুরে দুই প্রার্থীর বাড়িতে হামলা হয়। এর এক জন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সদস্য ঈশা শেখের ছেলে দ্যানিউল শেখ। তিনি এ বার পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে বোমার মামলাও রুজু হয়েছে।

Advertisement

ঈশার অভিযোগ, “তৃণমূলের জনা পনেরো লোক লাঠিসোটা নিয়ে এসে দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে। আসবাব ভাঙচুর করতে-করতে ওরা আমাদের খুঁজতে থাকে। আমরা বাড়ির পিছন দিয়ে পালাই। ওরা শাসিয়ে যায়, প্রচারে বেরলে ফল ভাল হবে না।” এর পর হামলা হয় সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী রেন্টু শেখের বাড়িতে। তিনিও পালিয়ে বাঁচেন। এই গ্রাম থেকেই পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু শাখার ব্লক সভাপতি জিয়ারত আলি। তাঁর দাবি, ‘‘এই সব হামলার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। মিথ্যে কুৎসা রটানো হচ্ছে।’’

বুধবার সকালে সুতি ২ ব্লকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদের নিয়ে বিজয়-মিছিল বের করেছিল তৃণমূল। একটি বোমা উড়ে এসে পড়ে বাজিতপুরের চন্দ্রপাড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। জানালার পাল্লা ভাঙে। আতঙ্কে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন এক প্রসূতি ও এক আশাকর্মী। তবে কেউ আহত হননি। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে খবর, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘরের ছবি পাঠিয়ে সব জানানো হয়। তবে তিনি পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। এ বিষয়ে কিছু বলতেও চাননি। জঙ্গিপুর মহকুমা তৃণমূল সভাপতি বিকাশ নন্দ জানান, কী হয়েছিল, খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

মারপিট না হলেও ফ্লেক্স-ব্যানার ছেঁড়ার লড়াই শুরু হয়েছে নবদ্বীপে। সিপিএমের অভিযোগ, বাবলারির নিত্যানন্দপুর, সিদ্ধেশ্বরীপাড়ায় তাদের সব ফ্লেক্স, পতাকা ইত্যাদি রাতারাতি লোপাট হয়ে গিয়েছে। বাবলারি নিয়ে এক অভিযোগ করছে বিজেপিও। ৩২ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী প্রভাত রুদ্রর অভিযোগ, তাঁদের সব পতাকা ছিঁড়ে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। মায়াপুর ২ পঞ্চায়েতের ভারুইডাঙা অঞ্চলেও বিজেপি প্রার্থীর ফ্লেক্স এবং দলীয় পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দুই দলই তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছে। তবে তৃণমূলের দাবি, তা ‘ভিত্তিহীন’।

স্বরূপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে আবার তৃণমূলের ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে বিরোধীদের দিকে। তৃণমূলের অভিযোগ, স্বরূপগঞ্জ হাসপাতাল মোড় থেকে তিওরখালি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশ থেকে তাদের বড়-বড় ফ্লেক্স, পতাকা খুঁটি সমেত উপড়ে দেওয়া হয়েছে। কেটে ফালাফালা করে দেওয়া হয়েছে বহু ফ্লেক্স। পুলিশের কাছে অভিযোগে তারা বিজেপি ও সিপিএমের দিকেই আঙুল তুলেছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, এ সব গোষ্ঠী কলহের পরিণতি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement