সিপিএমের সভায় হামলার অভিযোগ

যুব কর্মীদের কনভেনশন চলাকালীন সিপিএম পার্টিঅফিস ঘিরে দফায়-দফায় তাণ্ডব চালাল একদল দুষ্কৃতী। রবিবার বিকালে কল্যাণীর চাঁদমারির ওই ঘটনায় কয়েক জন প্রতিনিধি আহত হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৫ ০০:৩৯
Share:

যুব কর্মীদের কনভেনশন চলাকালীন সিপিএম পার্টিঅফিস ঘিরে দফায়-দফায় তাণ্ডব চালাল একদল দুষ্কৃতী। রবিবার বিকালে কল্যাণীর চাঁদমারির ওই ঘটনায় কয়েক জন প্রতিনিধি আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের ভয়ে বেশির ভাগ প্রতিনিধি ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পার্টি অফিসের সামনে রাখা সাইকেল, স্কুটার ও মোটরবাইকও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় একটি গণ্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেননি।

গয়েশপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদমারিতে সিপিএমের শাখা অফিস রয়েছে। এ দিন দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে ওই অফিসে তাদের যুব সংগঠন ডিওয়াই এফআই গয়েশপুর-২ নম্বর লোকাল কমিটির কনভেনশন শুরু হয়। ঘণ্টা খানেক কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই চলে কনভেশনের কাজ। তারপর কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে ওই অফিস ঘিরে ফেলে। তাদের হাতে ছিল লাঠি, বাঁশ, লোহার রড। তারা ওই কনভেনশনে আগত প্রতিনিধিদের বাইরে বেরিয়ে আসতে বলে। তাদের চিৎকারে কনভেনশনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিনিধিরা তাদের কথা মতো অফিসের বাইরে বেরিয়ে আসেন। তখন তাঁদের উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করা হয়। আগামীতে ওই এলাকায় আবার দেখা তাঁদের গেলে ফল ভাল হবে না বলেও ওই সব প্রতিনিধিদের ভয় দেখানো হয়।

Advertisement

অভিযোগ, প্রতিনিধিদের কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। ভয়ে অনেকেই পালিয়ে যন। সেই সুযোগে পার্টি অফিসের সামনে রাখা প্রতিনিধের সাইকেল, স্কুটার এবং মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে কল্যাণী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বেগতিক বুঝে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালায়। পরিস্থিতি কিছু সময়ের জন্য শান্ত হয়। পুলিশও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে ভেবে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। অভিযোগ, পুলিশ চলে যাওয়ার পর দুষ্কৃতীরা ফের ফিরে আসে। আবারও প্রতিনিধিদের উপর আক্রমণ চালায়।

সিপিএমের কল্যাণী জোনাল কমিটির সম্পাদক সোমেশ কংসবণিক বলেন, ‘‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তৃণমূল চায় না রাজ্যে কোনও বিরোধী দল থাকুক। তাই পরিকল্পিত ভাবে এই আক্রমণ চালিয়েছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে গয়েশপুর শহর তৃণমূলের সভাপতি ও গয়েশপুর পুরসভার পুরপ্রধান মরণকুমার দে বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ। ওই ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত নন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যতদূর শুনেছি, নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে ওই কাণ্ড ঘটেছে। প্রকৃত ঘটনাকে চাপা দিতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement