প্রতীকী ছবি।
মুর্শিদাবাদে ভোট-হিংসার বলি আরও এক জন। পঞ্চায়েত ভোটের দিন, শনিবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন রঘুনাথগঞ্জের চক বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী সইদুর রহমান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতার এনআরএসে ভর্তি করানো হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। ভোটের দিন একই ঘটনায় সইদুরের সঙ্গে জখম হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী মইদুল শেখ। দু’জনেই এনআরএসে ভর্তি ছিলেন। গত সোমবার মইদুলের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে শনিবার বচসা বেধেছিল তৃণমূল এবং কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। সেই বচসাই পর্যায়ক্রমে হাতাহাতিতে গড়ায়। অভিযোগ, এর পরেই তৃণমূল কর্মীদের উপর বাঁশ, লাঠি, লোহার রড দিয়ে হামলা চালান কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। বোমাবাজিও হয়। তাতে জখম হন তৃণমূলের ন’জন কর্মী। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ওই ন’জনের মধ্যে মইদুল এবং সইদুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের এনআরএসে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’জনেরই মৃত্যু হল। সইদুরের মৃত্যু ধরে রাজ্যে ভোট-হিংসায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৯। এর মধ্যে শুধু ভোটের দিনের সংঘর্ষে ঘটনাতেই ২১ জন মারা গিয়েছেন।
পরিবার সূত্রে খবর, ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বিকেলে বাজিতপুরে সইদুরের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখারুজ্জামান কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘‘কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কর্মীদের উপরে নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় মইদুল এবং সইদুরকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার মইদুলের মৃত্যু হয়। আর আজ সইদুরের মৃত্যু হল। এ রকম নৃশংস রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কোনও দিন দেখিনি।’’ সব দায় অস্বীকার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ভোট লুট করতে গিয়ে কিছু জায়গায় জনতার প্রতিরোধের সামনে পড়েছে। যে ঘটনায় কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, তার ন্যূনতম দায় কংগ্রেসের নেই।’’