এলাকায় কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না, উন্নয়নের কথা জানতে গেলে দলেরই পঞ্চায়েত প্রধান দুর্ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিলেন তৃণমূল সদস্যদের একাংশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটে ধানতলা থানার আড়ংঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে। তারা বলেন, “আমরা মানুষরে কাছে ক্ষুব্ধ সদস্যদের অভিযোগ, এলাকার মানুষ তাঁদের নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু প্রধান অসহযোগিতা করায় অনেক কিছুই করা যাচ্ছে না। আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই টাকা পাননি। আবাস যোজনার ঘরের তালিকা ঠিকঠাক হয়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান রমা লস্কর বলেন, “আমি তো ওদের কিছু বলিনি। ওরা আমাকে আটকে রেখেছিল। এর আগে টেন্ডার ডাকার সময়ে ওরা গন্ডগোল করেছিল। সেটা নিয়ে তদন্ত হয়েছিল। তাতে অনেক সময় চলে গিয়েছে। পরে লকডাউন শুরু হয়। সেই কারণে সময় মতো উন্নয়নের কাজ শুরু করা যায়নি।” তাঁর দাবি, “আমপানে যাঁদর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা, তাঁরাই পেয়েছেন। আর আবাস যোজনার ঘরের তালিকা অনেক আগে তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ে আমি প্রধান ছিলাম না।”
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট ২ ব্লকের আড়ংঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট সদস্য ২১ জন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ২০ জন এবং সিপিএমের এক জন নির্বাচিত হয়েছিলেন। রমা লস্করকে পঞ্চায়েত প্রধান করা হয়েছিল। এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। প্রধান এবং অন্য কর্মীরা ভিতরে আটকে যান। শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি বিপুল উকিলের অভিযোগ, “ওই পঞ্চায়েতে মস্তানরাজ চলছে। তৃণমূলের কে কত টাকা রোজগার করবে, তা নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দল চলছে। সাধারণ মানুষের কথা ভাবার মতো সময় তাদের নেই।” রানাঘাট ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দেবাঞ্জয় গুহঠাকুরতা পাল্টা বলেন, “ওখানে কোনও মস্তানরাজ কায়েম হয়নি। আমাদের দলের যারা এ সব করছে, দল তাদের দিকে নজর রাখছে। অন্যায় করলে কেউ ছাড় পাবে না।”