—ফাইল চিত্র।
আজ, বৃহস্পতিবার বহরমপুর পুরসভায় প্রশাসক বসতে চলেছে। বুধবার পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে প্রশাসক বসার সিদ্ধান্তে পুরসভার বহু কর্মচারী বেতন বন্ধ ও কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন। এই আশঙ্কা বিদায়ী চেয়ারম্যান থেকে পুরসভার আধিকারিক, পুর কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা থেকে পুরকর্মী সকলেরই। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান পুরসভার চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্য নেতৃত্বাধীন পুরবোর্ডের মেয়াদ ১২ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। রাজ্য সরকার বহরমপুর পুরসভায় পুরনির্বাচন করেনি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ১৩ডিসেম্বর বহরমপুর পৌরসভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরপ্রশাসক হিসাবে বহরমপুর সদর মহকুমাশাসক দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। এ ব্যাপারে জেলাশাসক পি উলাগানাথন জানান, বহরমপুর পুরসভার নির্বাচন হয়নি, পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তাই বহরমপুর সদর মহকুমাশাসককে পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।‘
আর এতেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন অনেকে। এই পুরসভায় ১৯৯২ সাল পর্যন্ত স্থায়ী কর্মচারী ছিল ৬৬৪ জন,অবসরের ফলে নতুন করে নিয়োগ না হওয়ায় বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬৯ জনে। আর তাই অ্যাডহক ভিত্তিতে১২১৬জন অস্থায়ী পুরকর্মী নিয়োগকরে মোট১৮১৫জন পুরকর্মীদের নিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। যাদের বেশিরভাগ পদের কোন অনুমোদন নেই। এদিকে ২০০৩ সালের পর চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের নিয়োগ পুরদফতর বন্ধ রাখলেও কি কংগ্রেস আমলে,কি ২০১৬ সালের পর তৃণমূল আমলে পুরসভায় যথেচ্ছ কর্মী নিয়োগ হয়েছে। বিদায়ী চেয়ারম্যান জানান, বহরমপুর পৌরসভার কোন স্টাফপ্যাটার্ন নেই। তবে,বহরমপুর পুরসভার প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর ও শাসক তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মুর্শিদাবাদ জেলা পৌরকর্মচারি সংগঠনের জেলা সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় অব্যশ্য এব্যাপারে বলেন,’ইতিমধ্যে আমরা পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বিষয়টি জানিয়েছি, তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন,’ রাজ্য সরকারের ওপর আমাদের যথেষ্ট আস্থা আছে ,দেখা যাক কি হয়!’
এব্যাপারে বিদায়ী চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্য দাবি করেন,দু’ লক্ষ ২৫ হাজার মানুষের বহরমপুর শহরকে সচল রাখতে বিশাল সংখ্যক কর্মচারীদের বেতন দিতে মাসে দেড়কোটি টাকা লাগে। পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়। তবে প্রায় ১৭ বছরধরে তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন একদিনের জন্যও অস্থায়ী কর্মীদের বেতন আটকায়নি। তবে বহরমপুর সদর মহকুমা শাসক দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, আগে দায়িত্বভার নিই,তারপর দেখা যাক কী হয়!’