অ্যাসিড কাণ্ডে পুলিশ হেফাজত

প্রকাশ্যে তরুণীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল ডোমকলের রাকিবুল শেখ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার নওদার ওই ঘটনায় পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাকে বহরমপুর সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৬ ০২:০০
Share:

প্রকাশ্যে তরুণীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল ডোমকলের রাকিবুল শেখ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার নওদার ওই ঘটনায় পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাকে বহরমপুর সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে মোবাইলে রাকিবুলের সঙ্গে আলাপ হয় নওদার ওই তরুণীর। সেই থেকে মাঝেমধ্যেই মেয়েটিকে ফোন করত রাকিবুল। ওই যুবক মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। একাদশ শ্রেণির ওই তরুণী জানিয়েছিলেন, পড়াশোনা শেষ হলে তবেই বিয়ে। কিন্তু অপেক্ষা করতে রাজি ছিল না রাকিবুল।

বৃহস্পতিবার সে তরুণীর গ্রামে এসে রাস্তায় পথ আটকায়। তার সঙ্গে ওই তরুণীকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে হবে বলেও জেদ করে। তাতে আপত্তি করাতেই সে তরুণীর মুখে অ্যাসিড ছোড়ে। জখম তরুণীকে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করায় সিপিএমের ছাত্র সংগঠন। এ দিন এসএফআই-এর ছ’জনের এক প্রতিনিধি দল ওই তরুণীকে দেখতে তাঁর বাড়িতে যান। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সন্দীপন দাস বলেন, ‘‘ওই পরিবারের কাছ থেকে জানতে পারি যে, বৃহস্পতিবার ঘটনার পরে ওই তরুণীকে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে স্যালাইন দিয়ে ফেলে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেয়। কিন্তু ওই পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় ওই রাতে গাড়ি ভাড়া করে বহরমপুরের হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারেননি।’’

Advertisement

ওই তরুণী বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও ওই তরুণীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হয়। আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার অবহেলার বিষয়টি মানতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নওদা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মুকেশ সিংহ বলেন, ‘‘ওই ছাত্রীকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা করেছি। প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়েছি। কিন্তু বিকেলে তার বাড়ির লোক কাউকে না জানিয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। আমাদের চিকিৎসকরা তাকে খুঁজে পায়নি।’’

ওই তরুণীর কাকা বলেন, ‘‘ভাইঝি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠায় ডাক্তারদের জানিয়েই তাকে বাড়ি নিয়ে এসেছিলাম।’’ ওই যুবক কোথায় থেকে অ্যাসিড নিয়েছিল তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement