—প্রতীকী ছবি।
সমাজমাধ্যমে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলেন অপরিচিত সুন্দরী মহিলা। মুহূর্তের মধ্যেই সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এক যুবক। তার পর সমাজমাধ্যমেই দু’জনের প্রেম জমে ওঠে। ওই মহিলা যুবককে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়ে বসেন। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বাড়িতে স্ত্রীকে না জানিয়ে সরাসরি প্রেমিকার দেওয়া ঠিকানায় হাজির হন প্রেমিক। আর সেখানে পৌঁছতেই চোখ ছানাবড়া প্রেমিক যুবকের। কারণ, সমাজমাধ্যমে আলাপ হওয়া সেই প্রেমিকা আর কেউ নন, স্বয়ং তার বিবাহিত স্ত্রী! স্বামীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে জুতো খুলে বাসস্ট্যান্ডেই মারধর শুরু করেন স্ত্রী। মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলের এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম বিপ্লব। বাড়ি ডোমকল থানা এলাকার মোমিনপুর গ্রামে । বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়েরা। দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে কেরলে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন বিপ্লব।
বিপ্লবের স্ত্রীর দাবি, স্বামীর সন্দেহজনক আচরণ নিয়ে তাঁর মনে সংশয় তৈরি হয়েছিল। বহু দিন সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। তাই স্বামীকে হাতেনাতে ধরতেই এই ফন্দি এঁটেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্ত্রী। পরিকল্পনামাফিক সমাজমাধ্যমে একটি নকল প্রোফাইল খুলে স্বামীকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান তিনি। ভুয়ো পরিচয়ে স্বামীর সঙ্গে ভাব জমিয়ে তাঁর কুকীর্তি ফাঁস করেন।
সমাজমাধ্যমে প্রতি দিন প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতেন বিপ্লব। অপরিচিত যুবতী বেশ ভরসাযোগ্য হয়ে উঠেছিলেন তাঁর। বিয়ের প্রস্তাব পেতেই ব্যাগপত্র গুছিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ডোমকল বাসস্ট্যান্ডে চলে এসেছিলেন বিপ্লব। প্রেমিকার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিছু ক্ষণ পরে সেখানে বাড়ির লোকজনকে নিয়ে হাজির হন বিপ্লবের সেই প্রেমিকা। বিপ্লব দেখেন, প্রেমিকা আর কেউ নন, তাঁর স্ত্রী। বাপের বাড়ির লোকজনকে নিয়ে হাজির হয়েছেন।
মারধরের দৃশ্য দেখে পথচারীরা সেখানে ভিড় জমান। গণধোলাইয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। রীতিমতো লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। আক্রান্ত ওই যুবককে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয় ডোমকল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।