Bomb making at Beldanga

বোমা তৈরির মজুরি দিনে ৫-৮ হাজার টাকা

ভোট এলেই খোঁজ পড়ে ভাল বোমা তৈরির কারিগরের। তাদের দিনের মজুরি ৫০০০-৮০০০ টাকা। সেদিন যত বোমা বানানো যায় বানানো হয়।

Advertisement

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বেলডাঙা পুরসভা এলাকা হোক বা গ্রামীণ এলাকা, বোমার অস্তিত্ব আগেও ছিল, এখনও রয়েছে। আগে একবার এই বোমা বাড়ির ছাদে শুকতে দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের শিশুরা বল ভেবে খেলতে গেলে তা ফেটে যায়। তাতে শিশুদের দেহ থেকে হাত বিচ্ছিন্ন হয়। তাতেও শিক্ষা হয়নি। এমনকি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেলডাঙাতেই দুই ব্যক্তির প্রাণ যায় বোমা বানাতে গিয়ে। কিন্তু তাতেও কিছু পাল্টায়নি।

Advertisement

ভোট এলেই খোঁজ পড়ে ভাল বোমা তৈরির কারিগরের। তাদের দিনের মজুরি ৫০০০-৮০০০ টাকা। সেদিন যত বোমা বানানো যায় বানানো হয়। বেলডাঙা ও রেজিনগরের মতো গ্রামীণ এলাকায় বোমা, বন্দুরের কারবার থেমে নেই। পঞ্চায়েত ভোট থেকে পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত চলেছে বোমা ও বন্দুকের রমরমা। তবে সেখানেও তা থেমে থাকেনি। ভোটের পরেও নানান স্থান থেকে বোমা ও বন্দুক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।

সামনে লোকসভা নির্বাচন। সেখানে পাড়ায় পাড়ায় ভোট না থাকলেও দাদাদের রেষারেষি বন্ধ হয়নি। বিরোধী রাজনৈতিক দল অথবা একই রাজনৈতিক দলের মধ্যে লড়াই ত্রস্ত হয়েছে এলাকার মানুষ। একটা সময় ছিল পাড়ায় পাড়ায় দুই পক্ষ জমি সংক্রান্ত বিবাদে জড়িয়ে পড়ত। গুড়ুম গুড়ুম শব্দে তেতে উঠত এলাকা। এখন রাজনীতির লড়াই উত্তপ্ত হচ্ছে এলাকা। বেলডাঙা ও রেজিনগর জুড়ে বোমা, বন্দুক উদ্ধার হয়েছে নিয়ম করে। কিন্তু যে স্থানে বোমা উদ্ধার হচ্ছে সেখানে গিয়ে দেখা গিয়েছে অন্য চিত্র।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পরিত্যক্ত বোমা প্লাস্টিকের পাত্রে রাখা থাকে। গোপন স্থানে। পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এলাকার মানুষ দেখতে পান না। জানতে পারেন না কে বা কারা ওই বোমা রেখে যায়। কিন্তু পুলিশ জানতে পারে যে সেখানে বোমা রয়েছে। পুলিশ এসে সেই বোমা উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে খবর মিলেছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধী ধরা পড়ে না। কখনও পুলিশ অনেক পরে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে।

পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পুলিশ তার নিজের সোর্সের উপর গুরুত্ব দেয়। সেই সোর্সকে কখনও ডিসক্লোস করে না। সময় সুযোগ বুঝে অপরাধীকে চিহ্নিত করে ও তাকে গ্রেফতার করে।”

ভোটের অনেক পরে রেজিনগরের গোপালপুর, নাজিরপুর ও বেলডাঙার মির্জাপুর থেকে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অপরাধীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তিকে ঘটনা স্থলে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ঝোপের ভেতর থেকে পাইপগান উদ্ধার করে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement