—প্রতীকী ছবি।
গোটা ভোট-পর্ব জুড়েই বার বার অশান্তি, রক্তপাত হয়েছে মুর্শিদাবাদে। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের দিনেও ফের রক্তাক্ত হল ওই জেলা। খড়গ্রামের রুহি গ্রামে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া এক পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলেকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। ঘটনাচক্রে, এই অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বুধবার খড়গ্রামের সাদল গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ছিল। সেখানে নির্বিঘ্নেই মেটে প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচন। তার পরেই সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা পঞ্চায়েত সদস্যা আনোয়ারা খামারুর ছেলে হুমায়ুন খামারুকে (২৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। পরিবার সূত্রে খবর, হুমায়ুনকে উদ্ধার করে খড়গ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। হামলার ঘটনায় শফিক শেখ নামে আরও এক তৃণমূল সমর্থক জখম হন বলেও দাবি। দলীয় সূত্রে খবর, তাঁকে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের দাবি, শাসকদলের একটি গোষ্ঠীই আনোয়ারার ছেলেকে খুন করেছে। হুমায়ুনের বৌদি রেজিনা বিবি বলেন, ‘‘আনোয়ারা বিবি তৃণমূলে যোগ দেওয়াতেই ওই দলের একটি গোষ্ঠী অসন্তুষ্ট হয়ে আমার দেওরকে খুন করেছে। আমরা ওদের চরম শাস্তি চাই।’’
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে খড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত রেষারেষি থেকে খুন হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি। কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা যুক্ত আছে বলেও খবর পাচ্ছি। আমরা সবটা খতিয়ে দেখছি। প্রশাসনও তদন্ত করছে।’’ পাল্টা জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন। ভয় দেখিয়ে দলে যোগদান করানোর পরেই তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে।’’