—প্রতীকী চিত্র।
নদিয়া-বর্ধমান সংযোগকারী গৌরাঙ্গ সেতুর উপরে বসে গল্প করছিল দুই বন্ধু আর এক বান্ধবী। এক বন্ধুর মোবাইল ফোন দেখতে চায় কিশোরী। তবে মোবাইল দেখাতে রাজি হয়নি ওই বন্ধু। কিশোরীর পরিবারের দাবি, এর পর অভিমানের বশে সে ভাগীরথীতে ঝাঁপ দেয়। সোমবার রাতের এই ঘটনা। সেতুর উপরেই পড়ে ছিল তার সাইকেল, ব্যাগ এবং মোবাইল ফোন। মঙ্গলবার ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নিখোঁজ কিশোরীর খোঁজে নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, কিশোরীর নাম রিচা দাস (১৬)। দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁরা একসঙ্গে তিন বন্ধুকে দীর্ঘ ক্ষণ গৌরাঙ্গ সেতুতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন ওই দিন সন্ধ্যায়। পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ বাকি দুই বন্ধু। তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে বার হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী। এর পর সাইকেল নিয়ে যায় গৌরাঙ্গ সেতু। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একটি ছেলের মোবাইল জোর করে দেখার চেষ্টা করছিল ওই কিশোরী। তার পরেই তিন বন্ধু মোবাইল নিয়ে কাড়াকাড়ি করতে শুরু করে। ছেলেটি তাঁর ফোন দেখাতে অস্বীকার করে এবং সেখান থেকে তার আর এক জন বন্ধুকে নিয়ে চলে যায়। চিৎকার করতে করতে ওখানেই বসে পড়ে ওই কিশোরী। ঘটনার দীর্ঘ ক্ষণ পরে সাইকেল, মোবাইল আর নিজের ব্যাগ রেখে ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেয়ে ওই কিশোরী। ঝাঁপ দেওয়ার শব্দ শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এর পর নবদ্বীপ থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ খবর দেয় কিশোরীর পরিবারকে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী স্পিড বোট ও ডুবুরি নামিয়ে নিখোঁজ কিশোরীর তল্লাশি চালাতে শুরু করে ভাগীরথী নদীতে। রিচার আত্মীয় চন্দনা দাস বলেন, “আমাদের মেয়ের কোনও অস্বাভাবিক আচরণ ছিল না। সে আত্মহত্যা করেছে, না কি তাকে খুন করা হয়েছে, সেটা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।”