শেষ পর্যন্ত গয়েশপুরের ন’জন রেশন ডিলারকে সাসপেন্ডই করা হল। প্রাথমিক তদন্তের পর, কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত যে, বরাদ্দের মালপত্র তাঁরা স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে বেচে দিতেন। তবে রেশন ডিলারদের সংগঠন জানিয়েছে, দোষীদের সঙ্গে কিছু নিরাপরাধ ডিলারকেও বলির পাঁঠা করা হয়েছে।
গত রবিবার গয়েশপুরের যোগাযোগ মোড়ে একটি ভ্যানে করে সাত বস্তা আটা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে জেরা করে জানতে পারেন, স্থানীয় অরুণ সমাদ্দারের বাড়িতে সেগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে গয়েশপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মরণ দে ঘটনাস্থলে পৌছান।
স্থানীয় বাসিন্দারা অরুণের বাড়িতে হানা দিয়ে দেখেন সেখানে শতাধিক বস্তা রেশন সামগ্রী মজুত রয়েছে। জেরায় অরুণ স্বীকার করে, গয়েশপুরেই ন’জন রেশন ডিলারের কাছ থেকে রেশনের সামগ্রী কিনে খোলা বাজারে বিক্রি করে। পুলিশ অরুণ কে গ্রেফতার করে।
কল্যাণীর মহকুমা শাসক স্বপন কুণ্ডুর পাশাপাশি খাদ্য দফতরের আধিকারীকরা অভিযুক্ত রেশন দোকানগুলিতে হানা দেন। অভিযুক্ত ডিলারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
নদিয়া জেলা খাদ্য নিয়ামক অসীমকুমার নন্দী জানান, ধৃত মজুতদারদের কাছ থেকে গয়েশপুর এলাকার ন’জন রেশন ডিলারের নাম তাঁরা জানতে পেরেছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর দেখা গিয়েছে, তাদের হিসেবে বেশ কিছু গণ্ডগোল রয়েছে। শুক্রবার ন’জন রেশন ডিলারকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।
অসীমবাবু বলেন, ‘‘ওই রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সাসপেন্ড থাকাকালীন ওই রেশন দোকানের গ্রাহকরা নিকটতম ডিলারদের কাছ থেকে রেশন সামগ্রী তুলবেন। বিষয়টি ওই এলাকার বাসিন্দাদেরও জানানো হয়েছে।”