প্রতীকী ছবি
করোনা-আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য তাঁদের শরীরে করোনাজয়ীদের প্লাজ়মা দেওয়া শুরু হয়েছে জেলায়। কিন্তু শুক্রবার সেই প্লাজ়মা দিতে এসে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হল আট জন করোনাজয়ীকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের হাসপাতালে রক্তের উপাদান পৃথকীকরণের ব্যবস্থা নেই। ফলে প্লাজ়মা আলাদা করা সম্ভব নয়। তাই যদি হবে তা হলে কেন ওই হাসপাতালে প্লাজমা দান করার জন্য করোনাজয়ীদের যেতে বলা হল তার কোনও সদুত্তর অবশ্য মেলেনি।
গত ১৪ অক্টোবর জেলায় প্রথম চাপড়া থানায় চার জন করোনাজয়ী সিভিক ভলান্টিয়ার প্লাজ়মা দান করেন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা থেকে যাঁরা অন্তত মাস চারেক আগে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাঁদের কাছেই প্লাজ়মা দানের অনুরোধ জানানো হয়। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্লাজ়মা থেরাপি বিশেষ কার্যকর বলে দাবি স্বাস্থ্যকর্তাদের।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের তরফে রানাঘাট পুরসভাকে দশ জন করোনাজয়ীর প্লাজ়মা সংগ্রহ করার কথা বলা হয়। পুরসভা শুক্রবার ওই দশ জনকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে দু’জনের রক্ত নেওয়ার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের কাছে প্লাজ়মা সংগ্রহের পরিকাঠামো নেই। ফলে বাকিদের রক্ত নেওয়া যাবে না। ফলে ৮ জন ফিরে যান।
মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যে দু’জনের রক্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল সেই ‘হোল ব্লাড’ সংগ্রহ করে ব্লাড ব্যাঙ্কে রাখা হয়েছে। তা অন্য অনের রোগে আক্রান্তদের কাজে লাগবে। প্লাজ়মা সংগ্রহের জন্য রক্তের উপাদান পৃথকীকরণের ইউনিট তাঁদের হাসপাতালে নেই। তা রয়েছে শুধু শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল এবং জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতাল।
রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার শ্যামল কুমার পোড়ে বলেন, “পুরোটাই ভুল বোঝাবুঝির জন্য হয়েছে।” পরিকাঠামো না-থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কেন ওই হাসপাতালে প্লাজ়মা সংগ্রহের জন্য ৮ জনকে ডাকলেন? শ্যামলবাবু বলেন, ‘‘এটাই তো ভুল বোঝাবুঝি।’’
জেলা প্রশাসনের দাবি, রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে কিছু সামগ্রীর ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছিল।কিন্তু তা শেষ মুহূর্তে করা হয়নি। নদিয়ার জেলাশাসক বিভু গোয়েল প্লাজমা সংগ্রহ করা যায়নি বলে স্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, “রানাঘাটে কিছু সামগ্রীর ব্যবস্থা ছিল না বলে এ দিন প্লাজ়মা সংগ্রহ করা যায়নি। তবে খুব দ্রুত যাবতীয় ব্যবস্থা হয়ে যাবে।”