— প্রতীকী চিত্র।
বাড়িতে ঘুমোচ্ছিল সাত বছরের শিশুকন্যা। বাড়ি বন্ধ করে কাকভোরে মা-বাবা গিয়েছেন ফজরের নমাজ পড়তে। তখনই ঘটে গেল অঘটন। আচমকা বাড়িতে আগুন। লেলিহান শিখা চোখে পড়তে হইচই পড়ে যায় মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানা এলাকার মোষমারিতে। প্রতিবেশীরা পাম্প দিয়ে জল তুলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আসে দমকলও। বহু চেষ্টার পর জ্বলন্ত ঘরের ভিতর ঢুকে শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়, কিন্তু তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে ছোট্ট তমন্না খাতুনের।
পুলিশ সূত্রে খবর, তমন্নার পরিবারের সদস্যেরা ভোর রাতে নমাজ পড়তে গিয়েছিলেন। সে সময় বাড়িতে আগুন লেগে যায়। এ দিকে তমন্না শোয়ার ঘরে ঘুমে কাদা। ফলে আগুন লাগার বিষয়টিও টের পায়নি সে। প্রতিবেশীরা লেলিহান শিখা দেখে ছুটে আসেন, শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। তত ক্ষণে গোটা বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে। বাড়িতে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। কোনও রকমে বাড়ির ভিতরে ঢুকে ঝলসে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী করে বাড়িতে আগুন লাগল তা এখনও পরিষ্কার নয়। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে বাড়িতে আগুন লেগে থাকতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফকির মণ্ডল বলেন, ‘‘দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে আমরা বালতি, গামলা, জলের পাইপ নিয়ে ছুটে আসি। ভেতরে যে বাচ্চা মেয়েটি রয়েছে আমরা বুঝতে পারিনি। যখন বুঝতে পেরেছি, তখন কারও ঢোকার উপায় ছিল না। আগুন একটু নিয়ন্ত্রণে আসার পর ভিতরে ঢুকে দেখি, সব শেষ!’’