SSC

ছাত্র-স্বার্থে স্কুলে ওঁরা ৪

সুতির বহুতালি হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন জিয়াউল হক। শীর্ষ আদালতের রায়ে বৃহস্পতিবার ওই স্কুলের ১৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ১১ জনেরই চাকরি গিয়েছে।

Advertisement

বিমান হাজরা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:২৬
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

চাকরি হারালেও স্কুলকে সমস্যার মুখে ফেলে দিতে পারলেন না ওঁরা। তাই চাকরি হারানোর পরের দিনেও একই ভাবে স্কুলে গিয়ে দায়িত্ব পালন করলেন ‘ওঁরা’।

Advertisement

সুতির বহুতালি হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন জিয়াউল হক। শীর্ষ আদালতের রায়ে বৃহস্পতিবার ওই স্কুলের ১৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ১১ জনেরই চাকরি গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন জিয়াউলও। তবে শুক্রবারও তিনিস্কুলে গিয়ে সব কাজ সামলেছেন। যেহেতু ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই, তাই তাঁর উপরেই স্কুল চালানোর দায়িত্ব দিয়েছিল পরিচালন সমিতি। সেই থেকে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন জিয়াউল। বৃহস্পতিবার চাকরি হারানোর খবর পেয়ে ১১ জনের মধ্যে ১০ জন শিক্ষক স্কুল ছেড়ে বাড়ি চলে যান। তবে শুক্রবার জিয়াউল স্কুলে গিয়ে সব কাজই করেছেন। তিনি বলেন, “১৫ জন শিক্ষক ছিলেন। ১১ জনেরই চাকরি গিয়েছে। আমারও চাকরি চলে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের স্কুলে পরীক্ষা চলছে। প্রায় চার হাজার ছাত্রছাত্রী। এই অবস্থায় স্কুলের দায়িত্ব ছেড়ে কী করে চলে যাব? পরীক্ষাপর্ব নির্বিঘ্নে শেষ হোক, সেটাই চাই। পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেলে পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়বে।’’ তিনি জানান, শিক্ষকের অভাবে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে দিয়ে নজরদারির কাজ করানো হয়। গ্রামের কয়েক জন শিক্ষিত যুবকেরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে।

জিয়াউল বলেন, “কেউ কেউ পরীক্ষা স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্ররা পরীক্ষা দিতে স্কুলে এসেছে। ওদের ফিরিয়ে দিই কী করে! ইদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলাম। পরীক্ষা আছে বলে চলে এসেছি। দেখি, যতদিন সম্ভব হয় আসব।” ফরাক্কার বাহাদুরপুর হাই স্কুলে আট জন শিক্ষক ছিলেন। চাকরি গিয়েছে পাঁচ জনের। পরীক্ষা চলছে সেখানেও। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সুবলচন্দ্র সাহা বলেন, “তিন জনে হাই স্কুল চালানো যায়! চাকরিহারাদের মধ্যে তিন শিক্ষক অরবিন্দ ঘোষ, শুভাশিস মান্না এবং ভোলানাথ গড়াই জানান, তাঁরা স্কুলে আসবেন। চাকরিহারা দুই শিক্ষিকা বাড়ি চলে গিয়েছেন। শুভাশিস শুক্রবার স্কুলে এসেছিলেন। পরীক্ষার খাতাও নিয়ে গিয়েছেন। শুভাশিস বলছেন, “তিন জন শিক্ষক কী করে সামলাবেন ১,৬০০ ছাত্রকে। ছাত্রদের কথা ভেবেই স্কুলে আসব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement