ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ডোমকলের গাবতলায়।
মাত্র মিনিট দশেক স্থায়ী হওয়া বিদ্যুতের ঝলকানি, সঙ্গে বজ্রপাত। তাতেই নদিয়া ও মুর্শিদাবাদে মারা গেলেন চার জন। আহতের সংখ্যা তেরো জনের বেশি।
সোমবার সকালের কালবৈশাখীতে চাষের ক্ষতি, বাড়ি ঘর ভাঙার পাশাপাশি এক সঙ্গে এতগুলি মৃত্যু ফের প্রশ্ন তুলে দিল, তা হলে কি কালবৈশাখীর প্রকৃতি পাল্টাচ্ছে? চরিত্র বদলে এখন সে অনেক বেশি প্রাণঘাতী? বছর দশ-পনেরো আগেও ঝড়ের সঙ্গে বজ্রের এমন সঙ্গত দেখেননি বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞেরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ায় মৃতদের নাম বরুণ বিশ্বাস(৪০) ও আনারুল সেখ(৩৫)। বরুণের বাড়ি তেহট্টের বেতাই নতুনপাড়ায় ও আনারুলের বাড়ি মুরুটিয়ার মাদপুরে। এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ মাঠে নিজের উচ্ছের জমিতে কাজ করছিলেন বরুণ। সেই সময় আচমকা বাজ পড়ে। বরুণকে তেহট্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ দিনই বৃষ্টির সময় মাঠ থেকে ঘরে ফেরার সময় বাজ পড়ে মারা যান মুরুটিয়ার আনারুল শেখ। এ ছাড়া বাজ পড়ে বেতাইয়ের দু’জন ও মুরুটিয়ার মানিকডিহি গ্রামের চার জন আহত হয়েছেন।
টালির ঘর ভেঙে জখম হয়েছেন এক মহিলা ও দুই বালক।
মুর্শিদাবাদেও বজ্রাঘাতে মারা গিয়েছেন দু’ জন। আহতের সংখ্যা আট। সোমবার সকাল ৮ নাগাদ দৌলতাবাদ থানার কাছাকাছি ঘোষপাড়ায় নিজের বাড়িতে ঘরের কাজ করছিলেন ধনঞ্জয় ঘোষ (৪০)। হঠাৎ বৃষ্টি নামে, সঙ্গে ঝড় আর বিদ্যুতের ঝলকানি। বাজ পড়ে বাড়িতেই মারা যান ধনঞ্জয়। প্রায় ওই একই সময় ওই থানার কলাডাঙা ঘোষপাড়ায় বাজ পড়ে আহত হয়েছেন এক মহিলা। তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।। ডোমকলের রঘুনাথপুর এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে বছর পঁয়ষট্টির গাজিবর রহমান বিশ্বাসের। শুধু ইসলামপুরেই বজ্রাঘাতে আহত হয়েছেন আট জন।
সোমবার ছবিগুলি তুলেছেন সাফিউল্লা ইসলাম ও সুদীপ ভট্টাচার্য