দুই বাংলাদেশিকে শনিবার ফেরত পাঠাল বিএসএফ। এক জনের পরনে হলুদ পাঞ্জাবি, অপর জনের মেরুন রঙের চুড়িদার। —নিজস্ব চিত্র।
ও পার বাংলা থেকে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করা দু’জনকে ফিরিয়ে দেওয়া হল বাংলাদেশে। শনিবার বিএসএফের তরফে এক বাংলাদেশি তরুণ এবং এক কিশোরীকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। বছর একুশের বাংলাদেশি তরুণ সুব্রত ভট্টাচার্যের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়। কিশোরীর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায়। কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাস এবং বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে দুই বাংলাদেশিকে নিজেদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শনিবারই আখাউরা চেকপোস্ট হয়ে বাংলাদেশে ফিরে যান দু’জনে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সুব্রত ও তাঁর মা বিভূতি ভট্টাচার্য বাংলাদেশে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা সচ্ছল ছিল না। তাই পুরোহিত-বিদ্যা শিখতে এ পার বাংলায় এসেছিলেন সুব্রত। এক দালাল মারফত অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার করেছিলেন তিনি। ওই কিশোরীও সেই সময়েই বাংলাদেশ থেকে এ পার বাংলায় এসেছিলেন। দেশে ফেরার আগে সুব্রত জানান, প্রায় ১০ মাস আগে পাসপোর্ট ছাড়াই তিনি রামগড় সংলগ্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। পরে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এত দিন পর সন্তানকে দেখতে পেয়ে আত্মহারা বিভূতিও। ছেলে যে ভারতে চলে গিয়েছে, তা তিনি জানতেনই না। শনিবার তরুণের মা বলেন, “এক দিন রাতে ফোন আসে। তখন আমাকে জানানো হয়, আমার ছেলে ভারতে। ফোন পেয়ে আমি দিশাহারা হয়ে গিয়েছিলাম। প্রায় ১০ মাস ছিল। আমি তা শুনে প্রায় পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। আমার স্বামীও অসুস্থ। কোথায় যাব, কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এত দিন পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে আমি আনন্দিত।”
বিএসএফের তরফে দীপেন্দর সাধু জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়া মেনেই দু’জন বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দু’দেশের হাই কমিশনার পর্যায়ের পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন।