মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
শেষ হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ভাবে শাসকদলের জনসংযোগ যাত্রা। এই অবস্থায় আরও একটি প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিবিড় ভাবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসনের শীর্ষমহল। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনগুলিকে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানানোর যে পদ্ধতি চালু রয়েছে, সেখানেই ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে হবে। কোনও ধরনের দায়সারা কাজ যে এ ক্ষেত্রে চলবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের বক্তব্য, নবান্নের নির্দেশ, অভিযোগ পাওয়া মাত্র দ্রুত তার নিষ্পত্তি করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠাতে হবে পদক্ষেপের বিবরণ। দায়ের হওয়া অভিযোগের সঙ্গে দেওয়া মোবাইল নম্বর বা ঠিকানা যথাযথ ভাবে খতিয়ে দেখে অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলে তাঁর সমস্যার সমাধান করতে হবে। অভিযোগ নিষ্পত্তির পরে সেই তথ্য জানাতে হবে অভিযোগকারীকেও।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আগেও এই পদ্ধতি চালু ছিল। কিন্তু তখন এক দফতর অন্য দফতরের কাছে তা পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত থাকত। তাতে মূল অভিযোগের নিষ্পত্তির বিষয়টা অধরা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হত। এই ব্যাপারে প্রশাসন বাড়তি জোর দিচ্ছে কারণ, যাতে মানুষের মনে না হয়, তাঁদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার। সংশ্লিষ্টরা আরও মনে করছেন, প্রশাসনিক পদক্ষেপগুলি বিশ্বাস এবং ভরসাযোগ্য করে তুলতে চাইছে নবান্ন।
সরকারি কর্তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত প্রশাসনিক বৈঠকেও বিষয়টির উপরে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পরিষেবা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শাসকদলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে যাত্রা শুরু করেছেন, সেখানেও মানুষ সরকারের কাছে কোনও প্রতিকার চাইতে পারেন বলে প্রশাসনের ধারণা। সেই সব অভিযোগও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার আশ্বাসও দিয়ে রেখেছে রাজ্য।