—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আপাতত কিছু দিন অতিরিক্ত কোনও ছুটি নেওয়া থেকে বিরত থাকার বার্তা প্রশাসনিক কর্তা এবং আধিকারিকদের দিল নবান্নের সর্বোচ্চ মহল। ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর বিষয়ে শুনানি রয়েছে। তার আগে প্রশাসনিক প্রস্তুতির স্বার্থে প্রধানত সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদেরই এই বার্তার আওতায় আনা হচ্ছে বলে আধিকারিক মহলের অনুমান।
শুক্রবার কয়েকটি দফতর, জেলা শাসক, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সূত্রের দাবি, সেই বৈঠকেই এই বার্তা পাওয়া গিয়েছে। শনিবার এমনিতেই সরকারের অনেকগুলি দফতরে সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। তা ছাড়া এ দিনই করম পুজো উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি-সহ রাজ্যের সব দফতরের কর্মী-আধিকারিকদের ছুটি ঘোষণা করেছিল নবান্ন। তবে প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, এ দিনও স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, মুখ্যসচিবের দফতর-সহ একাধিক বিভাগের আধিকারিকদের হাজির হতে হয়েছে। গোটা দিন তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন বিভিন্ন রিপোর্ট তৈরিতে। আধিকারিকদের একাংশ এ-ও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কয়েক দিন আগে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেও একই ইঙ্গিত মিলেছিল।
আধিকারিক মহল জানাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট গত শুনানিতে একাধিক পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল। তাতে যেমন ময়না তদন্তের চালান সংক্রান্ত বিষয় ছিল, সঙ্গে ছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিষয়টিও। দ্রুত জুনিয়র চিকিৎসকদের দ্রুত কাজে ফেরার নির্দেশও দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু তার পরেও সংশ্লিষ্টদের আন্দোলন আরও তীব্র হয়েছে। তার পর থেকে সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকার একাধিক বার আলোচনায় ডেকেছিল আন্দোলনরত চিকিৎসকদের। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত তাতে কোনও ইতিবাচক ফল দেখা যায়নি।
তাৎপর্যপূর্ণ, তার পরেই চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি, বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় কাদের মৃত্যু হয়েছে এই সময়ে, সেই তথ্যও জোগাড়ের দাবি করেছিলেন তিনি। শনিবার স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান মঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “১৭ তারিখে শুনানি রয়েছে। আমি চাই না আপনাদের কোনও ক্ষতি হোক।”
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অনুমান, সর্বোচ্চ আদালতে পরবর্তী শুনানির আগে সামগ্রিক এই ঘটনাপ্রবাহের তথ্য-নথি তৈরির প্রয়োজন রয়েছে সরকারের কাছে। সম্ভবত সেই কারণেই সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির আধিকারিকদের অতিরিক্ত ছুটি নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে আপাতত।