Duare Sarkar

অষ্টম ‘দুয়ারে সরকার’ শুরু হচ্ছে রাজ্যে, কবে থেকে শিবির বসবে, কত দিন চলবে, জানাল নবান্ন

দু’টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবিরকে। প্রথম পর্ব চলবে ১৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই পর্বে সমস্ত প্রকল্পের আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্ব চলবে ২ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৫২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

আবার রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচির অষ্টম দফা। চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। বুধবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। পুরনো সব সরকারি প্রকল্প ছাড়াও আর একটি নতুন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে অষ্টম দফার শিবির থেকে।

Advertisement

দু’টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবিরকে। প্রথম পর্ব চলবে ১৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই পর্বে সমস্ত প্রকল্পের আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্ব চলবে ২ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই পর্বে পরিষেবা প্রদানের শিবিরের আয়োজন করা হবে। নাগরিক সুবিধার্থে স্থায়ী এবং ভ্রাম্যমাণ দু’ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দু’লক্ষ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে এ বার, যা সপ্তম দফার চেয়ে বেশি। এই শিবিরগুলির মধ্যে ৩৬ শতাংশ ভ্রাম্যমাণ এবং বাকি ৬৪ শতাংশ প্রচলিত শিবির। নবান্ন জানিয়েছে, বাড়ির কাছে কোথায় শিবির বসছে, তা http://ds.wb.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে জানতে পারবেন গ্রাহকেরা। কন্ট্রোলরুম তৈরি করা হয়েছে ব্লক, জেলা এবং রাজ্য স্তরেও। শিবির তদারকির জন্য জেলা এবং মহকুমা স্তরে ৪০ জন আমলাকে নিযুক্ত করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে চালু করা হয়েছে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর— ১৮০০-৩৪৫-০১১৭/০৩৩-২২ ১৪০১৫২।

২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পাঁচ লক্ষ ৬৬ হাজারেরও বেশি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সাত কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। প্রতি বারের মতো এ বারও খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতি শংসাপত্র, কৃষকবন্ধু, শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ছাড়াও আরও নানা প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন উপভোক্তারা। আগের দুয়ারে সরকারে যুক্ত হওয়া চারটি প্রকল্পও— বার্ধক্য ভাতা (সমাজ কল্যাণ ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ), পরিযায়ী শ্রমিকের নথিভুক্তিকরণ (শ্রম বিভাগ), উদ্যম পোর্টালে নথিভুক্তিকরণ (ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ও বস্ত্র বিভাগ), হস্তশিল্পী এবং তাঁতশিল্পীদের তালিকাভুক্তকরণ (ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ও বস্ত্র বিভাগ)-ও থাকছে এই অষ্টম দফায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement