রিজুর পানের দোকানে নোটের সংগ্রহশালা। নিজস্ব চিত্র।
কারও শখ থাকে ঘুরে বেড়ানোর। কেউ আবার বিভিন্ন দেশের ডাকটিকিট জমিয়ে রাখেন। শখ মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা ব্যারেজ কলোনির রিজু ইসলামের শখ দেশে-বিদেশের মুদ্রা জমানো। মুদ্রা জমানোর শখ অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। কেউ জমান দেশ বিদেশের কয়েন, কেউ নোট। যাঁরা নোট জমান তাঁদের বলা হয় নোটাফিলিস্ট আর কয়েন জমালে নিউমিসম্যাটিস্ট। পান বিক্রেতা রিজু দুই-ই।
ফারাক্কা ব্যারেজ বাজারে রিজুর পানের দোকান। পান ছাড়াও অন্যান্য টুকিটাকি বিক্রি করেই দিন চলে তাঁর। সেই দোকানে গেলেই দেখা যাবে, ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা। মোট ৫২ দেশের নোট দোকানে সাজিয়ে রেখেছেন তিনি। ভারতে প্রচলিত বিভিন্ন সময়ের নোটও রয়েছে রিজুর সংগ্রহে। সেই সব নোট এখন দেখা যায় না বাজারে। আর তা দেখতেও আসেন অনেকে।
রিজুর জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই তাঁর বিভিন্ন দেশের টাকা জোগাড় করার শখ। বাবাও জমাতেন। সেই থেকেই তৈরি হয় নেশা। বিভিন্ন জনের থেকে মুদ্রা সংগ্রহ করেন তিনি। কখনও কিনেও নেন। সেই সবই দোকানে সাজিয়ে রেখেছেন তিনি। রিজু বলেছেন, ‘‘অনেক কম বসয়ী ছেলে-মেয়েরা আসে দোকানে। ভারতের পুরনো সময়ের টাকা দেখে খুব খুশি হয় তারা।’’ তবে শুধু টাকা জোগাড়ই নয়। হরেক রকম পান বানাতেও ওস্তাদ রিজু। মোট ১৮২ রকমের পান বানাতে পারেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ ভাবেই বিভিন্ন দেশের টাকা রয়েছে রিজুর দোকানে। নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: টাকা দিতে না পারায় রোগিণীর কানের দুল নিলেন অ্যাম্বুল্যান্সচালক
আরও পড়ুন: পুলিশ দিদিমণি, থানায় পাঠশালা চালিয়ে পুরস্কার পাচ্ছেন শান্তিনিকেতনের ওসি