পুজোর মঞ্চ সাজাতে টিকা নেওয়ার ব্যক্তিদেরই কাজে লাগাতে চায় পুজো কমিটিগুলি। নিজস্ব চিত্র।
দুর্গোৎসবের আর ১০০ দিনও বাকি নেই। তাই করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার পুজোর আয়োজনে যথেষ্ট সাবধানী পুজো কমিটিগুলি। এ বার করোনাবিধি মেনেই শারদোৎসবের আয়োজন করতে চাইছেন কলকাতা ও হাওড়া শহরের পুজো উদ্যোক্তারা। এ ক্ষেত্রে যাতে পুজোর সঙ্গে যুক্ত সর্বস্তরের ব্যক্তিদের টিকাকরণ করা যায়, সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। পুরোহিত, থিম মেকার, প্যান্ডেল নির্মাণকারী, বিদ্যুৎকর্মী, পটুয়া, ঢাকী-সহ পুজোর সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগে যুক্ত ব্যক্তিদের করোনা টিকা দেওয়া থাকলে পুজোয় সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। বৃহস্পতিবার এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসেছিল কলকাতার পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে তৈরি সংগঠন ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শ্বাশ্বত বসু বলেন, ‘‘এক প্রস্থ আলোচনা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে আগামী সপ্তাহেই জানানো সম্ভব হবে।’’ তবে বিভিন্ন পুজো কমিটির কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, তাঁরা টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরই এ বার পুজোর মঞ্চ সাজানোর কাজে লাগাতে চান। আর ফোরাম সম্পাদক শ্বাশ্বত যে পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা, সেই হাতিবাগান সর্বজনীন পুজোর কমিটির ক্লাবকর্তা থেকে শুরু করে পুজোর সঙ্গে যুক্ত সর্বস্তরের কর্মীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
কলকাতার পুজো কমিটিগুলি এখনও টিকাকরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করলেও, এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে হাওড়া পুরসভা এলাকায়। ইতিমধ্যে হাওড়া পুরসভার তরফে শুক্রবার চারটি পুজো কমিটির মোট ২২০ জনকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ডেকরেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ২০০ জন সদস্যকেও টিকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, হাওড়া সিটি পুলিশের কাছ থেকে ১০৪৫টি পুজো কমিটির নাম পেয়েছে হাওড়া পুরসভা। খবর, প্রতিটি পুজো কমিটির ৫০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে।
কলকাতার পুজো কমিটি-সহ পুজোর সঙ্গে যুক্তদের টিকাকরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘‘কলকাতা পুরসভা হচ্ছে এগজিকিউটর। আমাদের স্বাস্থ্য ভবন টিকা দেয়। কাকে কাকে দিতে হবে, তা স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিংবা স্বাস্থ্য ভবন বলে দেন। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ভবন যে দিন বলবে, আমরা সে দিন থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করব। ’’
করোনাবিধি মেনেই হবে পুজোর যাবতীয় কাজ।
কলকাতার পুজো কমিটিগুলি এখনও টিকাকরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করলেও, এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে হাওড়া পুরসভা এলাকায়। ইতিমধ্যে হাওড়া পুরসভার তরফে শুক্রবার চারটি পুজো কমিটির মোট ২২০ জনকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ডেকরেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ২০০ জন সদস্যকেও টিকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, হাওড়া সিটি পুলিশের কাছ থেকে ১০৪৫টি পুজো কমিটির নাম পেয়েছে হাওড়া পুরসভা। খবর, প্রতিটি পুজো কমিটির ৫০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে।
কলকাতার পুজো কমিটি-সহ পুজোর সঙ্গে যুক্তদের টিকাকরণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘‘কলকাতা পুরসভা হচ্ছে এগজিকিউটর। আমাদের স্বাস্থ্য ভবন টিকা দেয়। কাকে কাকে দিতে হবে, তা স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিংবা স্বাস্থ্য ভবন বলে দেন। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ভবন যে দিন বলবে, আমরা সে দিন থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করব। ’’