দিল্লিতে তৃণমূলের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে বদল আনলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
রাজধানী দিল্লিতে তৃণমূলের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে রদবদল হল। সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে দলীয় বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সাংবাদিক বৈঠকেই দলের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে রদবদলের কথা ঘোষণা করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তাঁদের সাক্ষাতের সময় দিয়েছেন।
অভিষেক জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে যন্তর মন্তরে তৃণমূলের সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের সঙ্গে ১০০ দিনের ‘জব কার্ড হোল্ডার’রা ধর্না শুরু করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে যাবে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। আগে ঠিক ছিল, সকাল সাড়ে ৯টায় ধর্না কর্মসূচির সূচনা হবে। দুপুর ১টায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু সন্ধ্যার বৈঠকে ওই কর্মসূচিতে রদবদল আনেন অভিষেক।
নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণার পর হুঁশিয়ারিও দেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘আগামী কাল আমাদের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে রাজ্যের দাবিদাওয়া জানাতে যাবে। যদি আমরা আমাদের প্রশ্নের জবাব সঠিক ভাবে না পাই, তা হলে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়েই আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।’’
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক। পরে দলের তরফে জানানো হয়, ২-৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধর্না বিক্ষোভ করবে তৃণমূল। সেই ঘোষণা মাফিকই দিল্লির রাজপথে বাংলার তৃণমূল নেতাদের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার দাবিতে সরব হয়েছেন। সোমবার দিল্লি পুলিশের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের একাধিক বার বচসা হয়। তৃণমূলের প্রায় সব নেতারাই কম-বেশি দিল্লি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ এনেছেন। তবে অভিষেক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে কোনও কর্মী আহত হলে তৃণমূল নেতৃত্ব ছেড়ে কথা বলবে না।