প্রতীকী চিত্র।
শিশুদের সংক্রমণ ঠেকাতে মায়েদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব শিশুদের উপরই সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই হাসপাতালগুলিতে শিশুদের চিকিৎসা পরিষেবা এবং পরিকাঠামো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জুলাই মাসের মধ্যেই রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে শিশুদের আইসিইউ, এসএনসিইউ এবং জেনারেল বেডের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন অক্সিজেন সঙ্কটের কথা ভেবে অক্সিজেন সরবরাহের পরিকাঠামোও উন্নত করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তিনি বলেন, ‘‘জুলাইয়ের মধ্যেই রাজ্যে শিশুদের জন্য় ৩৫০ এসএনসিইউ, ১৩০০ আইসিইউ শয্যা এবং ১০ হাজার জেনারেল বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘যেহেতু বিশেষজ্ঞরা তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তাই আমরাও ঝুঁকি নিতে চাইছি না। শিশুদের সংক্রমণ প্রতিরোধে ১২ বছর বা তার কমবয়সী শিশুর মায়েদের আগে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতদিন সুপারস্প্রেডার গোষ্ঠীকেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দিচ্ছিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ৩৩ লক্ষ সুপারস্প্রেডারকে টিকা দেওয়ার হয়েছে। এবার তাঁদের সঙ্গে অগ্রাধিকার পাবেন ১২ বছর ও তার কমবয়সী শিশুদের মায়েরাও।
টিকা নিয়ে বুধবার আরও বেশ কয়েকটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই ২ কোটি টিকা দিয়েছি। এখন দৈনিক ৩ লক্ষ করে টিকা দেওয়া হচ্ছে রাজ্যে। যা বৃহস্পতিবার থেকে বাড়বে। বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিদিন ৪ লক্ষ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, জুলাই মাসের মধ্যে রাজ্যে ৩ কোটি টিকাকরণ করার লক্ষ্য রয়েছে তাঁর। তিনি আশা করছেন জুলাই মাসের মধ্যে আরও ৭০ লক্ষ টিকা দিতে পারবে তাঁর সরকার।
যদিও মমতা বলেন, কেন্দ্রের টিকা নীতির জন্য এখনও সরবরাহ এবং জোগানের সমস্যা রয়েছে। মমতা বলেন, ‘‘কেন্দ্রের কাছে তিন কোটি টিকার ডিম্যান্ড করেছিলাম কিন্তু এখনও তা পাইনি।’’