জেলার সব স্তরের নেতা-কর্মীর সঙ্গে সমন্বয় রেখেই পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ব শুক্রবার সেইমতোই ভাগ করে দেওয়া হল শাসক দলে। জেলা সভাপতি বা কোনও বিধায়ক একক সিদ্ধান্তে যে প্রার্থী বাছতে পারবেন না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। সব ব্লকের নেতা-কর্মীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিধায়ক আলোচনা করে প্রার্থী বাছবেন। কোথাও যোগ্য বা দলের পুরনো কর্মী বঞ্চিত হলেন কি না, তা তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার আগে জেলা পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ ও জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে অবশ্যই যাচাই করে নিতে বলা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, উত্তর ২৪ পরগনায় জেলা সভাপতি-সহ সব স্তরের নেতার দায়িত্ব ভাগের এই সিদ্ধান্ত হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কিন্তু জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে পঞ্চায়েত ভোটের কোনও দায়িত্বেই রাখা হয়নি। শোভনবাবুকে নামমাত্র জেলা সভাপতি রাখা হলেও প়ঞ্চায়েতের কোনও দায়িত্ব না দেওয়ায় দলে তাঁর গুরুত্ব হ্রাস স্পষ্ট।
যাবতীয় গোষ্ঠী-বিবাদ ভুলে যাতে নিরপেক্ষ ভাবে প্রার্থী বাছাই ও ভোট-প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হয়, তার জন্য উত্তর ২৪ পরগনার ২২টি ব্লকের প্রতিটিতে প্রয়োজনমাফিক এক বা একাধিক পর্যবেক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এই জেলার যে সব বিধায়কের এলাকায় পঞ্চায়েত নেই, তাঁদের করণীয় আগামী দিনে দলের তরফে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র বীজপুরে পঞ্চায়েত এলাকা নেই বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়ের বিধায়ক পুত্র শুভ্রাংশু। বৈঠকে ডাক পাওয়া সত্ত্বেও তিনি এ দিন গরহাজির ছিলেন। শুভ্রাংশুর বক্তব্য, ‘‘আমার এলাকায় প়ঞ্চায়েত নেই। আর আমি যে বৈঠকে যেতে পারব না, তা বক্সীদা ও বালুদা’কে (জ্যোতিপ্রিয়) জানিয়েছি।’’ প়ঞ্চায়েত এলাকা নেই বলে বৈঠকে ছিলেন না মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, পূর্ণেন্দু বসু এবং সুজিত বসু। পঞ্চায়েত ও প়ঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী বাছাইয়ে স্থানীয় মতামত অগ্রাধিকার পাবে। তবে জেলা পরিষদের ৫৭টি আসনে জেলার মতামত জেনে প্রার্থী তালিকা তৃণমূল নেত্রীই চূড়ান্ত করতে পারেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।