জোট বেঁধে লড়েও জেলায় আসন মিলেছে মাত্র এক। দখলে থাকা পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠও হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। এমন এক বেগতিক পরিস্থিতিতে শনিবার নলহাটিতে সারা ভারত কৃষক সভার ব্লক সম্মেলন উপলক্ষে সমাবেশের ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত বাম নেতা-কর্মীরা।
সংগঠনের নলহাটি ২ ব্লক কমিটির ওই সমাবেশে দশ হাজারেরও বেশি লোক হয়েছে বলে বাম নেতৃত্বের দাবি। যদিও পুলিশের হিসেবে সংখ্যাটা ৭-৮ হাজার। সমাবেশে একসময় আয়োজকদের মঞ্চের সামনে বসার জায়গা করে দিতে দড়ির ব্যারিকেড খুলে দিতেও দেখা গেল। দৃশ্যতই খুশি সেলিম বললেন, ‘‘এই ভাবে হাতে হাত রেখে বামপন্থী শক্তিকে অটুট রাখতে হবে আমাদের।’’ দলীয় নেতা-কর্মী, ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে তৃণমূলের টাকাপয়সায় লোভে বিকিয়ে না যাওয়ার আবেদনও রাখেন।
সেলিম অবশ্য এ দিন বক্তব্যের শুরুতেই সাম্প্রতিক উৎকণ্ঠার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘‘সবাই এখন ‘কী হয়, কী হয়’ পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন। মোদী আজ ভাষণ রাখবেন, সেখানে কী বলেন— তা নিয়ে সবাই চিন্তিত।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পরেই সারা দেশ জুড়ে হয়রানি চলছে। আর নানা রকম বিবৃতি দিচ্ছেন মোদী।’’ রাজ্য সরকারের ব্যর্থতায় চাষিরা ধান বিক্রি করে সরকারি সহায়ক মূল্য পাচ্ছেন না বলে সেলিম অভিযোগ করেন। তাঁর আরও দাবি, ‘‘রাজ্যে ছ’বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। কেষ্টদের মতো কিছু নেতার খালি বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। যারা পুলিশের উপর বোমা মারার কথা বলেন, আর সারদা-নারদা-টেটের টাকা নিয়ে বেকার ছেলেমেয়েদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন।’’ মুসলিম সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নেও তৃণমূল সরকার কিছু করেনি বলে দাবি করেন সেলিম।
এ দিন বিকেলের ওই সমাবেশে সেলিম ছাড়াও প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম, জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা খাইরুল ইসলামও বক্তব্য রাখেন।