সেই মিলের সাইনবোর্ডে লেখা কমলেশ অধিকারীর নাম। —নিজস্ব চিত্র।
কাঠের মিলের গায়ে লাগানো সাইনবোর্ড। তাতে লেখা ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়ক অনিল অধিকারীর ভাইপো কমলেশ অধিকারীর নাম। বন দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে পশ্চিম ফালাকাটার সেই মিল থেকেই উদ্ধার হল বেশ কিছু চোরাই সেগুন কাঠের গুঁড়ি। বনকর্মীদের দাবি, বাজারে ওই কাঠের দাম প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।
কমলেশবাবুর পাল্টা দাবি, কাঠগুলি তাঁর মিল থেকে অনেক দূরে পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই বলেও দাবি কমলেশের। বিধায়ক অনিলবাবু বলেন, “ভাইয়ের ছেলে কিছু করলে আমার দায় হবে কেন? ওর জন্য আমি কারও কাছে দরবার করতে পারব না। আগেও ওকে সাবধান করেছিলাম।’’ বিধায়কের মন্তব্য শুনে বিরোধীদের পাল্টা দাবি, বিধায়ক সবই জানতেন।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ দলগাঁও রেঞ্জ ও মাদারিহাট রেঞ্জের বনকর্মীরা অভিযান চালিয়ে মিলটিতে পাঁচটি বড় সেগুন কাঠের গুঁড়ি পায়। বনকর্মীরা জানান, মিলটির কাছেই কমলেশবাবুর বাড়িতে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বন্যপ্রাণ ৩ বিভাগের ডিএফও কুমার বিমল জানান, মিলটি সিল করা হয়েছে। প্রয়োজনে লাইসেন্সও বাতিল হবে।
বনকর্মীদের একাংশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ওই মিলে চোরাই কাঠ চেরাই করা হচ্ছিল। এমন ঘটনায় দলের নাম জড়ানোয় অস্বস্তিতে নেতারা। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। বিধায়কের পরিজন কিছু করলে তার জন্য বিধায়ককে দায়ী করা ঠিক নয়।