উলুবেড়িয়ার গৃহবধূর রহস্য-মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দিলেন মু্খ্যমন্ত্রী। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মিতা মণ্ডলের বাড়িতে ফোন যায়। কথা বলেন মিতার ভাই বাপ্পা।
এর পরেই নবান্নে মুখ্য সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যাদপুরের প্রাক্তনী মিতা মণ্ডলের রহস্য-মৃত্যুর তদন্তভার হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশের হাত থেকে নিয়ে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের হাতে দেওয়া হল। যাতে সঠিক ভাবে তদন্ত হয়, সে দিকেও নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ দিন বেলা তিনটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন মিতার পরিবারের সদস্যরা। প্রায় পনেরো মিনিট ধরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মিতার পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘‘আইনি প্রক্রিয়ার যাবতীয় কিছু সরকার বহন করবে। এই পরিবার খুব গরীব পরিবার। মেয়ের বিয়েতে ৭০ হাজার টাকা দেনা হয়ে গিয়েছে। এই টাকাটা আমি মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’’ দোষীরা যাতে উপযুক্ত সাজা পায় সে দিকেও খেয়াল রাখবেন বলে মিতার পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুলিশের কাছে মিতা মণ্ডলের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে। পুলিশের দাবি, ওই রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গলায় ফাঁস লেগে ঝুলে থাকার দরুন মিতার মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়ার আগে ধস্তাধস্তির কারণেই শরীরে এত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনার পর ছয় দিন কেটে গেলেও এখনও উলুবেড়িয়ার ওই গৃহবধূ খুনে অভিযুক্ত তাঁর শাশুড়ি এবং দেওরকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সঠিক তদন্ত এবং ওই দু’জনকে গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার গড়িয়ায় মিছিল করেন যাদবপুর বিশ্বিদ্যালয়ে মিতার প্রাক্তন সহপাঠীরা। গড়িয়ার শান্তিনগরে মিতার বাপের বাড়ি।
আরও পড়ুন: ছড়িয়ে হোমের সামগ্রী, ঘি-সিঁদুর মাখানো দুই তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার