C V Ananda Bose

‘মিস্ট্রি এখন হিস্ট্রি’, দিল্লি এবং নবান্নে মুখবন্ধ খামে চিঠি পাঠানো প্রসঙ্গে মন্তব্য রাজ্যপাল আনন্দ বোসের

৯ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার কিছু ক্ষণ আগেই দু’টি চিঠিতে সই করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মুখবন্ধ খামে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল নবান্নে। একটি দিল্লিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:১২
Share:
representational image

রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে নবান্ন-রাজভবন সংঘাতের মধ্যেই ৯ সেপ্টেম্বর রাত ১২টার কিছু ক্ষণ আগেই দু’টি চিঠিতে সই করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মুখবন্ধ খামে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল নবান্নে। একটি দিল্লিতে। কিন্তু সেই চিঠিতে কী রয়েছে, তা নিয়ে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়— কেউই মুখ খোলেননি। ফলে কী রয়েছে সেই চিঠিতে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ‘মিস্ট্রি’ বা রহস্য। সেই ‘মিস্ট্রি’ চিঠি ‘হিস্ট্রি’ বা ইতিহাস হয়ে গিয়েছে বলে শুক্রবার মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল বোস।

Advertisement

সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগ মামলায় সার্চ কমিটি তৈরির জন্য সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপাল, ইউজিসি ও রাজ্য সরকার — প্রত্যেকের কাছ থেকে তিন থেকে পাঁচ জনের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে শুক্রবার রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটির সদস্যদের তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে মনোনীত এই প্রতিনিধিরা এ রাজ্যের না অন্য রাজ্যের, সেই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি রাজ্যপাল।

রাজ্য-রাজভবনের টানাপড়েনের মধ্যে ৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অভিযোগ করেন রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ‘ধ্বংস’ করছেন রাজ্যপাল। পাল্টা রাজ্যপাল মধ্যরাতে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন। এর পরে এক্স-হ্যান্ডলে (পূর্বতন টুইটার) রাজ্যপালের নাম না করে তাঁকে ‘ভ্যাম্পায়ার’ বলে কটাক্ষও করেন ব্রাত্য। এই আবহেই রাত ১২টার আগে দু’টি ‘গোপন’ চিঠি পাঠান রাজ্যপাল। কী আছে ওই চিঠিতে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে রাজ্য-রাজনীতিতে। এ দিন সেই চিঠি প্রসঙ্গে বোস বলেন, ‘‘রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক সহকর্মীকে যা লিখেছেন, তা তাঁদের মধ্যেই থাকা বাঞ্ছনীয়। সংশ্লিষ্ট পক্ষের কেউ এই ব্যাপারে বলতে চাইলে সঠিক সময়ে এই বিষয়ে মুখ খুলবেন। ওই চিঠি আর মিস্ট্রি নয়, হিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

এই আবহেই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি তৈরির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন এই বিষয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমি সার্চ কমিটির সদস্যদের চিহ্নিত করেছি। সর্বোচ্চ আদালতে তা পেশ করা হবে।’’ সার্চ কমিটির সেই সদস্যেরা এই রাজ্যের না অন্য রাজ্যের, সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘সেটা ওদের জিজ্ঞাসা করুন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement