সমবায়ের আয় বাড়াতে নারায়ণগড়ে মার্কেট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন হল শুক্রবার। নারমা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে ওই মার্কেট কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সমবায় সমিতির কর্তাদের দাবি, এর ফলে একদিকে এলাকার বাণিজ্যিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন যেমন হবে, তেমনই দোকানের ভাড়া থেকে সমবায়ের আয়ও বাড়বে।
নারায়ণগড় ব্লকের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে সমবায় সমিতি থাকলেও কোনও মার্কেট কমপ্লেক্স ছিল না। তাই সমবায়ের আয়ের পথ বাড়াতে নারমা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ১৮টি স্টল বিশিষ্ট মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। ১০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে এই মার্কেট কমপ্লেক্সটি গড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান প্রলয় সিংহ বলেন, “এই মার্কেট কমপ্লেক্সের মাধ্যমে এলাকা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হবে।” স্থানীয় বাজার কমিটির সম্পাদক হরেকৃষ্ণ সামন্তের কথায়, “এখন সুসজ্জিত মার্কেট কমপ্লেক্সে কেনাকাটা করতেই মানুষ পছন্দ করেন। তাই যাঁরা স্টল নিয়েছেন, তাঁরা উপকৃত হবেন বলেই আশা।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমবায় আন্দোলনেও জোর দেন শুভেন্দুবাবু। তাঁর মতে, লগ্নিসংস্থার রমরমা ঠেকাতে সমবায়ই একমাত্র বিকল্প। বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্ক পরিচালিত সমবায়গুলিকে আশার আলোও দেখিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, “গত তিন বছর বিদ্যাসাগর ব্যাঙ্কের সমিতিগুলি লভ্যাংশ পায়নি। এ বার আমরা সাড়ে ৬ শতাংশের বদলে ৭ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছি। আশা করছি, পুজোর আগেই সমিতিগুলি এই খাতে ৩ কোটি ২২ লক্ষ টাকা পেয়ে যাবেন। আমরা উৎসাহ ভাতারও ব্যবস্থা করেছি।”
একইসঙ্গে কেন্দ্রের সমালোচনা করে সাংসদ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু ভুল নীতি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদারনীতির ফলে সমবায়গুলি নানা সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলছে। আমাদের দাবি, কেন্দ্রে আলাদা সমবায় দফতর করে সমবায়কে স্বীকৃতি দিতে হবে।” এ দিন অনুষ্ঠানে ছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির চন্দ, মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ সূর্য অট্ট, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি, জেলা কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, খড়্গপুর পুরসভার কাউন্সিলর জহরলাল পাল প্রমুখ।