কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দূষণ রুখতে সময়সীমা বেঁধে দিল রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
আগামী সেপ্টম্বর মাসের মধ্যেই ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪, ৫ এবং ৬ নম্বর ইউনিটে দূষণ প্রতিষেধক যন্ত্র বসিয়ে চিমনি থেকে ছাই বেরনো বন্ধ করতে হবে বলে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রক ওই সংস্থা। সেই সঙ্গে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১, ২ এবং ৩ নম্বর ইউনিটের সংস্কারও ২০১৭ সালের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ।
এ ব্যাপারে ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে আগাম ১০ লক্ষ টাকা জমাও রাখা হয়েছে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে। এক বছরের মধ্যে গ্লোবাল টেন্ডার ডেকে ওই কাজে গতি না আনলে গচ্ছিত টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে পর্ষদের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন।
কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক কর্তা অবশ্য দাবি করেছেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা ৫ নম্বর ইউনিটের সংস্কারের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বাকি দুটি ইউনিটের কাজেও সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১,২ এবং ৩ নম্বর ইউনিটের গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার কাজও অনেকটাই এগিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ধোঁয়া ও ছাই দূষণে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ও মাতঙ্গিনী এবং পড়শি জেলা হাওড়ার বাগনান ১ ও ২ নম্বর ব্লকের প্রায় ৫০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গ্রামবাসীদের নাভিশ্বাস উঠেছে।
এলাকার অন্তত ৫৯টি গ্রামের চাষ আবাদ থেকে প্রাত্যহিক জীবনযাপন মুখ ঢেকেছে কালো ছাইয়ে। চাষের আবাদি জমি নষ্ট হচ্ছে ক্রমাগত। মাঠের ফসল মাঠেই মরে যাচ্ছে বলে তাঁদের দাবি। পুকুরে মরছে মাছ। এ অবস্থায় অন্তত ৮৫ হাজার গ্রামবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ‘কৃষক সংগ্রাম পরিষদ’ এবং ‘কেলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ কমিটি’। ওই দুই সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতেই পর্ষদ কর্তারা ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্তাদের তলব করেছিলেন। সাত দফা নির্দেশও তারই জেরে।