নয়াগ্রামে সিপিএমের নতুন জোনাল সম্পাদক হলেন প্রাক্তন বিধায়ক ভূতনাথ সরেন। রবিবার নয়াগ্রামের খড়িকামাথানি এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে জোনাল সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য হরেকৃষ্ণ সামন্ত। জোনাল সম্পাদক পদ থেকে হিমাংশু ত্রিপাঠীকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, এবার নবনির্বাচিত মূল জোনাল কমিটিতে সদস্য হিসেবেও তাঁকে রাখা হয় নি। এ প্রসঙ্গে সিপিএম সূত্রের ব্যাখ্যা, হিমাংশুবাবু পর পর চার বার সম্পাদক পদে ছিলেন। সেই কারণে এবার তাঁর অপসারণ প্রত্যাশিত ছিল। এ ছাড়া বয়সের কারণে তাঁকে মূল জোনাল কমিটিতে রাখা হয় নি। তবে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে তাঁকে রাখা হয়েছে। আগে ছিল ১৭ জনের জোনাল কমিটি। এবার নতুন জোনাল কমিটির সদস্য সংখ্যাও ১৭। তবে পুরনো কমিটির ১০ সদস্য নতুন কমিটিতে রয়েছেন। হিমাংশুবাবু-সহ পুরনো কমিটির সাত সদস্য বাদ গিয়েছেন। এবার জোনাল কমিটিতে ‘নতুন মুখ’ সাত জন। নবাগত সদস্যদের বয়স ২৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
জোনাল সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পরে ভূতনাথবাবুর প্রতিক্রিয়া, “মানুষের সঙ্গে ছিলাম। আগামী দিনেও থাকব। দরিদ্র-বঞ্চিতদের উন্নয়ন ও প্রাপ্য আদায়ের স্বার্থে গণ আন্দোলন গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য।”
বছর বাহান্নোর ভূতনাথবাবুর বাড়ি নয়াগ্রামের কেতকীনেশিয়া গ্রামে। স্থানীয় যুগিশোল অর্জুনস্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের ইতিহাসের শিক্ষক ভূতনাথবাবু দু’দফায় (২০০১-২০১১) নয়াগ্রামের বিধায়ক ছিলেন। এতদিন তিনি ছিলেন সিপিএমের নয়াগ্রাম জোনাল কমিটির সদস্য। এ ছাড়া সিপিএমের বালিগেড়িয়া লোকাল কমিটিরও প্রাক্তন সম্পাদক তিনি।
রাজ্যে ক্ষমতার পালা বদলের পরে এক সময়ে নিজেদের শক্তঘাঁটি নয়াগ্রামে এখন বেহাল অবস্থা সিপিএমের। আদিবাসী অধ্যুষিত নয়াগ্রামে এখন বিরোধী শক্তি হিসেবে বিজেপি-র উত্থান ঘটছে। কিন্তু তৃণমূল ও বিজেপি-র নেতৃত্বে আদিবাসী নেতা নেই। সেই নিরিখে সিপিএমের জোনাল সম্পাদক পদে ভূতনাথবাবুর নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি স্থানীয় রাজনীতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।