স্কুলেই চলছে যুব তৃণমূলের সম্মেলন। মঙ্গলবার। (ইনসেটে) স্কুলের প্রবেশপথে তোরণ। —নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার জামবনির উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ছুটি দিয়ে যুব তৃণমূলের দুবড়া অঞ্চল সম্মেলন হল। জামবনির দুবড়া গ্রামের আদর্শ বিদ্যামন্দিরের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১,৩০০ জন। এ দিন স্কুলে এসেছিল হাজার খানেক পড়ুয়া। দ্বিতীয় পিরিয়ড চলাকালীন বেলা বারোটা নাগাদ স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। শাসক দলের যুব সংগঠনের সম্মেলনের জন্য এ দিন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর মিড ডে মিল রান্নাও হয় নি। তবে স্কুলের রান্নাঘরে সম্মেলনের জন্য মাংস-ভাত রান্নার জোগাড়ে লেগে পড়েন যুব তৃণমূল কর্মীরা। সম্মেলন উপলক্ষে স্কুল ভবনের প্রধান দরজার সামনে একটি তোরণও বানানো হয়। প্রাচীরের চারপাশে লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের দলীয় পতাকা। স্কুলের দোতলার ক্লাসঘরে বিকেল পর্যন্ত সম্মেলনটি হয়।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারই জামবনি যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে সম্মেলনের জন্য স্কুল ভবনটি চান। প্রধান শিক্ষক তীর্থদ্যুতি ভাওয়াল সোমবার স্কুলে না-আসায় সহকারি প্রধান শিক্ষিকা বন্দনা মাইতি চিঠিটি নেন। মঙ্গলবারও প্রধান শিক্ষক আসেন নি। এ দিন স্কুল ছুটি করে দিয়ে সম্মেলন করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, কোন যুক্তিতে এভাবে কাজের দিনে স্কুল বন্ধ করে রাজনৈতিক সম্মেলন হল? সহকারি প্রধান শিক্ষিকা বন্দনা মাইতি বলেন, “এ দিন দু’টি পিরিয়ডের পরে ছুটি দেওয়া হয়। ছুটির বিষয়ে জানতে হলে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলুন।” প্রধান শিক্ষক তীর্থদ্যুতিবাবুকে বার বার চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায় নি।
তৃণমূল পরিচালিত স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক কমলেশ মালাকার অবশ্য বলেন, “পুরোপুরি স্কুল ছুটি দেওয়া হয় নি। দুপুর বারোটার পর ছুটি দিয়ে সম্মেলনটি হয়েছে। আয়োজকেরা সম্মেলনের জন্য লিখিতভাবে স্কুলভবন চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই।” জামবনি ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবনাথ হাঁসদার দাবি, “আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সম্মেলন করেছি। সম্মেলনে যুব সংগঠনের তিনশো কর্মী এসেছিলেন।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, “এমন ঘটনা অনুচিত। সাংগঠনিক ভাবে খোঁজ নিয়ে দেখব।”