শিক্ষকদের দেরি, স্কুলে তালা অভিভাবকদের

দেরিতে আসেন, এই অভিযোগে শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দিলেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁরা স্কুলের গেটে তালাও ঝুলিয়ে দেন। বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি শালবনি থানার চৈতার। পরে অবশ্য তালা খুলে দেওয়া হয়। যথারীতি পঠনপাঠনও শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শালবনি শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১৫
Share:

স্কুলেই আটকে পড়ুয়ারা।—নিজস্ব চিত্র।

দেরিতে আসেন, এই অভিযোগে শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দিলেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁরা স্কুলের গেটে তালাও ঝুলিয়ে দেন। বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি শালবনি থানার চৈতার। পরে অবশ্য তালা খুলে দেওয়া হয়। যথারীতি পঠনপাঠনও শুরু হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নারায়ণ সাঁতরা বলেন, “চৈতায় একটা ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। ঠিক কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।” তাঁর কথায়, “কোনও সমস্যা থাকলে দ্রুত তার সমাধান করা হবে।”

Advertisement

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, চৈতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সত্তরজন। শিক্ষক-শিক্ষিকা তিনজন। এখন অবশ্য একজন সহ-শিক্ষিকা ছুটিতে আছেন। স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, প্রায়শই শিক্ষকেরা দেরিতে স্কুলে আসেন। ফলে, পঠনপাঠনও ব্যাহত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীমন্ত চক্রবর্তী, সন্দীপ খামরাইরা বলেন, “এক- দু’দিন দেরি হতেই পারে। কিন্তু, প্রায়ই দেরিতে স্কুল শুরু হলে তো সমস্যা। আমরা আগেও শিক্ষকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি।” চৈতা প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক অজয়কুমার সিংহ অবশ্য বলেন, “আমরা সময় মতোই স্কুলে আসি। ভাইপো অসুস্থ। এদিন সকালে ওষুধ আনতে গিয়েছিলাম। তাই সামান্য দেরি হয়েছে।” তাঁর কথায়, “এদিন কেন কয়েকজন স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে দেন, বুঝতে পারছি না। এটা না- হলেই ভাল হত। পঠনপাঠন ব্যাহত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”

এদিন গ্রামবাসীদের একাংশ যখন স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন, তখন বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী স্কুলের মধ্যেই ছিল। গেটে তালা থাকায় অজয়বাবুরা আর স্কুলে ঢুকতে পারেননি। তাঁরা পাশের গাছতলায় অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে পরিস্থিতি দেখে তালা খুলে দেওয়া হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নারায়ণবাবু বলেন, “ঠিক কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি। কোনও ভাবেই পঠনপাঠন ব্যাহত করা যাবে না। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পর এ ক্ষেত্রে যদি কিছু করণীয় থাকে তা করব।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement