ঘাটাল কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
ক্লাস না হওয়া নিয়ে এক শিক্ষক ও ছাত্রদের ঝামেলার জেরে কলেজের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সোমবার ঘাটাল কলেজে দুপুর একটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত এই নিয়ে বিক্ষোভ চলে। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে প্রকাশ্যে ভুল স্বীকার করতে হবে। পরে অবশ্য ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আন্দোলন তুলে নেয় পড়ুয়ারা। কলেজের অধ্যক্ষ লক্ষীকান্ত রায় বলেন, “কলেজ পরিচালন কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে, এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আন্দোলন তোলে ছাত্ররা।”
কলেজ ও ছাত্র পরিষদ সূত্রের খবর, সোমবার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের তিনটি ক্লাস হয়নি। তাই ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও কলেজ ইউনিটের পক্ষ থেকে কয়েকজন ছাত্র শিক্ষকদের ঘরে গিয়ে ক্লাস না হওয়ার কারণ জানতে যায়। তৃণমূল পরিচালিত ঘাটাল কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত দাস বলেন, “শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও ক্লাস হয়নি কেন তা জানতে আমরা শিক্ষকদের ঘরে গিয়েছিলাম। আমরা ভদ্র ভাবেই জানতে চেয়েছিলাম কারণটা। কিন্তু শিক্ষকদের ঘরে ঢুকতেই অমিত রায় নামে ওই শিক্ষক আমাদের বেরিয়ে যেতে বলেন। ক্লাস না করানোর কারণ জানাতে বাধ্য নন বলে ওই শিক্ষক আমাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন।”
এই ঘটনা জানাজানি হতেই কলেজের সমস্ত ক্লাস বন্ধ করে শুরু হয় বিক্ষোভ। কলেজের সমস্ত মূল গেট বন্ধ করে শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ সমস্ত স্তরের কর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলতে থাকে। একসময় কলেজের আলো, জলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুপুর একটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পযর্ন্ত টানা আন্দোলনের ফলে কেউ কলেজ থেকে বের হতেও পারেননি।
কলেজ ইউনিটের সভাপতি শেখ ফাকরুল হাসান বলেন, “একজন শিক্ষকের জন্য সবাইকে কষ্ট পেতে হয়েছে। এর জন্য আমরা দু:খিত। তবে ওই শিক্ষক যখন আমাদের সঙ্গে ওই ব্যবহার করছিলেন তখন কিন্তু কোনও শিক্ষক প্রতিবাদ করেননি।” অভিযুক্ত শিক্ষক অমিত রায় বলেন, “একটু কড়া ভাষায় কথা বলেছি, এটা ঠিক।”