সোমবার তমলুকে সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মণ শেঠের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে ধীরে চলো নীতির ইঙ্গিত দিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। সোমবার তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্যদের সদস্য নবীকরণ সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন বিমানবাবু। তখনই লক্ষ্মণ শেঠের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে দলীয় তদন্তের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, “কোনও ব্যক্তি নিয়ে তদন্ত কমিশন হয়নি। এগুলো সংবাদমাধ্যমের নিজস্ব প্রচার। কমিশন হয়েছে একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে ঘিরে। তা হল, কী হয়েছে তা জানার জন্য। সেই জানার কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তবে সেই কাজ এখন বন্ধ আছে। কমিটি তার কাজ করবে।”
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দলের তদন্ত কমিশনের সদস্যদের ঘিরে লক্ষ্মণ অনুগামীদের হেনস্থার প্রসঙ্গে বিমানবাবু বলেন, “বিষয়টি দেখবার দ্বায়িত্ব জেলা কমিটির। আমাদের কিছু দ্বায়িত্ব নেই। জেলা পার্টি বলতে পারবে।”
তৃণমূলের তারকা প্রার্থী নিয়ে এ দিন বিমান কটাক্ষও করেন। ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রাণার বাড়িতে চায়ের আমন্ত্রণে যাবেন বলে জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বিমানবাবু বলেন, “এটা ব্যক্তিগত বিষয়। আমি কোনও মন্তব্য করব না।”
এ দিন দলের জেলা কমিটির সদস্যদের সদস্য পদ নবীকরণ নিয়ে বৈঠকে যোগ দেন বিমানবাবু ও রবীন দেব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা কমিটির বৈঠকের আগে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে লক্ষ্মণ-জায়া তমালিকা শেঠ-সহ তাঁর অনুগামীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও দলের জেলা কমিটির বৈঠকে ৭১ জন সদস্যের মধ্যে ৩ জন বাদে সবাই উপস্থিত ছিলেন। জেলা কমিটির বৈঠকে সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক প্রশান্ত প্রধান। বৈঠকে লক্ষ্মণ অনুগামী সদস্যদের মধ্যে বেশ ক’য়েক জন লক্ষ্মণ শেঠকে যোগ্য মর্যাদা দেওয়ার দাবি তোলেন।