পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের অপরাধদমন শাখা ও খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে জাল কাশির সিরাপ ও মদ বাজেয়াপ্ত হল খড়্গপুরে। শুক্রবার দুপুরে খড়্গপুরের কৌশল্যার সিলভার জুবিলি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়িতে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ওই অভিযানে চালানো হয়। শুধু জাল কাশির সিরাপ নয়, অভিযানে গিয়ে ওই বাড়িতে চলা বেআইনি মদ প্রস্তুতের বিষয়টিও পুলিশের নজরে আসে। ওই কারবারে যুক্ত ভোলা সিংহ নামে এক ব্যাক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চক্র একটি বেসরকারি সংস্থার সিরাপ জাল করে বাজারে বিক্রি করত। প্রথমে ওই বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্মীদের কাছেই জাল সিরাপ বিক্রির বিষয়টি নজরে আসে। কয়েকদিন আগে ওই সংস্থার কর্মীরা বিভিন্ন দোকানে ওষুধের ‘স্টক’ পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন, তাদের কোম্পানির কাশির সিরাপ কেউ জাল করে বাজারে ছাড়ছে। ওই সংস্থার ম্যানেজার সঞ্জয় শর্মা পুলিশে ঘটনার অভিযোগ জানান। অভিযোগের তদন্তে নেমে জেলা পুলিশের অপরাধদমন বিভাগ জানতে পারে, খড়্গপুরের কৌশল্যা এলাকার একটি বাড়ি থেকেই এই জাল সিরাপের কারবার চলছে। খবর অনুযায়ী শুক্রবার ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ এ দিন পেশায় রিকশা চালক বলে পরিচিত ভোলা সিংহের বাড়িতে হানা দেয়। ওই বাড়ি থেকে কাশির সিরাপের এক হাজার খালি বোতল, পাঁচশোটি সিরাপ ভর্তি বোতল, পাঁচ হাজার সিরাপের বোতলের নকল স্টিকার, পাঁচশোটি জাল লোগো দেওয়া ছিপি ও একশো লিটার সিরাপ তৈরির কাঁচামাল ভর্তি দু’টি ক্যান বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই বাড়ি থেকেই বিদেশি ব্র্যান্ডের নামে নকল করা জাল মদের দু’হাজার ভর্তি বোতল, আটশোটি খালি মদের বোতল ও মদ তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, “জেলা পুলিশে বাজারে জাল সিরাপ বিক্রির খবর আসে। এরপরই অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ জাল কাশির সিরাপ বাজেয়াপ্ত করা হয়। পাশাপাশি ওই বাড়ি থেকে একটি নামী মদ প্রস্তুতকারী সংস্থার নামে জাল করা বেশ কয়েক লিটার মদও পাওয়া গিয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” তবে এর পিছনে একটি বড় চক্র জড়িত আছে। ধৃতকে জেরা করা ঘটনার তদন্ত চলবে বলে জানান তিনি।