মোবাইল টাওয়ারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, মার তৃণমূল নেতাকে

মোবাইল ফোনের টাওয়ারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে পাঁশকুড়ায় এক তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সোমবার গভীর রাতে পাঁশকুড়া পুরাতন বাজার এলাকার ঘটনা। আহত তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য অজিত সামন্তকে পাঁশকুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় এ দিন অজিতবাবুর তিন সঙ্গীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৪ ০০:১৯
Share:

মোবাইল ফোনের টাওয়ারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে পাঁশকুড়ায় এক তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সোমবার গভীর রাতে পাঁশকুড়া পুরাতন বাজার এলাকার ঘটনা। আহত তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য অজিত সামন্তকে পাঁশকুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় এ দিন অজিতবাবুর তিন সঙ্গীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়া থানার বিভিন্ন এলাকায় থাকা মোবাইল ফোনের টাওয়ারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আগে থেকেই চলছিল। তার জেরেই সোমবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ অজিতবাবু-সহ বেশ কয়েকজন তিনটি গাড়িতে চেপে পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া বাজার এলাকায় গিয়েছিলেন। অভিযোগ, অজিতবাবুর সঙ্গীরা সেখানে গিয়ে মোবাইল টাওয়ারের তার কেটে দেন। এরপর রাতুলিয়া থেকে অজিতবাবুরা ফেরার সময় বিরোধী গোষ্ঠীর তৃণমূল সমর্থকরা তাঁদের তাড়া করে। পাঁশকুড়া পুরাতন বাজারের কাছে অজিতবাবু-সহ তিন সঙ্গীকে তাঁরা ধরে ফেলে বলে অভিযোগ। সেখানেই অজিতবাবু ও তাঁর সঙ্গীদের আটকে রেখে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ গিয়ে অজিতবাবুকে উদ্ধার করে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অজিতবাবুর গোষ্ঠীর তৃণমূল নেতা তথা মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান কুরবান শাহের অভিযোগ, “অজিতবাবু-সহ কয়েকজন এ দিন রাতে ওই এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে পাঁশকুড়া বাজারের কাছে আমাদের দলের নেতা জাইদুল খান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কিছু লোককে দিয়ে অজিতবাবুকে ব্যাপক মারধর করে।” যদিও অজিতবাবুকে মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে জাইদুল খান বলেন, “অজিতবাবুকে মারধরের ঘটনার কথা আমার জানা নেই।”

পাঁশকুড়া পঞ্চায়ত সমিতির সহ সভাপতি সুজিত রায়ের অভিযোগ, “এ দিন গভীর রাতে অজিতবাবু তিনটি গাড়িতে প্রায় ২৫জনকে নিয়ে পাঁশকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মোবাইল টাওয়ারের তার কেটে সেগুলি বিকল করার চেষ্টা করছিলেন। এভাবে রাতুলিয়া বাজারের কাছে গিয়ে একটি মোবাইল টাওয়ারের তার কেটে ফেরার সময় স্থানীয় বাসিন্দারাই ধাওয়া করে পাঁশকুড়া বাজারের কাছে অজিতবাবুদের ধরে ফেলে। তাঁরাই অজিতবাবুকে আটকে রেখে মারধর করে।” সুজিতবাবুর দাবি, “মোবাইল টাওয়ারের তার কেটে দেওয়ায় এরআগে পাঁশকুড়ায় মোবাইল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছিল। এরপর ফের এ দিন একইভাবে মোবাইল টাওয়ারের তার কেটে দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ধাওয়া করে ওঁদের ধরে ফেলে। সেই সময় তাঁদের সঙ্গে অজিতবাবু ছিলেন।”

Advertisement

খবর পেয়ে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ গিয়ে অজিতবাবুকে উদ্ধার করে। অজিতবাবুর সঙ্গে থাকা তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অজিতবাবুকে মারধরের ঘটনার কথা স্বীকার করে পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি দীপ্তিকুমার জানা বলেন, “মোবাইল টাওয়ার নিয়ে সোমবার রাতে পাঁশকুড়া পুরাতন বাজার এলাকায় গোলামালের সময় অজিতবাবুকে মারধর করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় ঠিক কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে জানিনা।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল টাওয়ারের যন্ত্রাংশ নষ্ট করার বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অজিতবাবুকে মারধরের বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement