ভোটদানে সংশয় রাখলেন লক্ষ্মণ

এ বার তিনি প্রার্থী নন। তবে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনের নিজের ভোট দেওয়া নিয়ে সংশয় জিইয়ে রাখলেন তমলুকের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলার চার্জগঠন সংক্রান্ত শুনানিতে হাজিরা দিতে শনিবার তমলুক জেলা আদালতে এসেছিলেন লক্ষ্মণবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৪ ০৪:২৩
Share:

এ বার তিনি প্রার্থী নন। তবে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনের নিজের ভোট দেওয়া নিয়ে সংশয় জিইয়ে রাখলেন তমলুকের প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলার চার্জগঠন সংক্রান্ত শুনানিতে হাজিরা দিতে শনিবার তমলুক জেলা আদালতে এসেছিলেন লক্ষ্মণবাবু। আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ভোট দিতে হলে আমাকে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিতে হবে। তাতে অনেক টাকা খরচ। সেই টাকায় বরং অমিয়বাবুরা (প্রাক্তন বিধায়ক অমিয় সাহু) নির্বাচনের প্রচার চালাক। আমার একটা ভোটে কী যায় আসে!”

Advertisement

নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়া-সহ ৮৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। অভিযুক্তদের মধ্যে লক্ষ্মণবাবু-সহ ৭১ জন শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন। রাজ্য সরকার লক্ষ্মণবাবুর জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট জামিন বহাল রাখলেও দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় লক্ষ্মণবাবুকে ঢোকার অনুমতি দেয়নি। দল এ বার তাঁকে প্রার্থীও করেনি। এই পরিস্থিতিতে লক্ষ্মণবাবু ভোট দিতে আগ্রহী নন বলেই মনে সংশ্লিষ্ট সব মহল। লক্ষ্মণবাবুর পুরনো কেন্দ্র তমলুকে এ বার সিপিএম প্রার্থী করেছে এসএফআইয়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি ২৫ বছরের শেখ ইব্রাহিম আলিকে। ইব্রাহিমকে নিয়েও এ দিন লক্ষ্মণবাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, “আমি এখন আদালতে এসেছি। এ বিষয়ে যা বলার ৩১ মার্চের পরে বলব।” উল্লেখ্য, সিপিএমের সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করার শেষ দিন ৩১ মাচ। মনে করা হচ্ছে, লক্ষ্মণবাবু সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করবেন না। এ দিনও নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। জেলা ও দায়রা বিচারক মধুমতি মিত্র অভিযুক্তদের আগামী ১১ এপ্রিল ফের হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement