জল ঢুকেছে তমলুকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে।—নিজস্ব চিত্র।
মাত্র দু’দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস ঘর। সোমবার ও মঙ্গলবারের বৃষ্টির জেরে তমলুক শহরের মানিকতলায় জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের ভিতরে জল ঢোকে। কোথাও ৩ ইঞ্চি আবার কোথাও প্রায় ৬ ইঞ্চি জল জমে যায়। অভিযোগ, এর ফলে বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের আধিকারিক ও কর্মীরা কাজ করতে সমস্যায় পড়েন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষকরাও ভোগান্তির শিকার হন।
বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের কর্মীদের এই সমস্যার পাশাপাশি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র যে কোন সময় জলে ডুবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন কর্মী-আধিকারিকেরা। ভারপ্রাপ্ত জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক রবিকান্ত সিমলাই বলেন, “অফিস ঘরের বাইরে জলনিকাশির ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টির জেরেই অফিসের মেঝেতে জল জমে এই পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যার কথা জেলাশাসককে জানিয়েছি।”
সোমবার কোনও রকমে পরিস্থিতি সামলে দফতরের আধিকারিকরা কাজ করলেও মঙ্গলবার সকালে ফের বৃষ্টির জেরে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয় বলে কর্মীদের অভিযোগ। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ছাড়াও বর্তমানে ওই অফিসে, একজন এসআই, এআই-সহ ১৭ জন আধিকারিক ও দফতরের বিভিন্ন বিভাগে মোট ৪৫ জন কর্মী রয়েছেন। মঙ্গলবার জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে গিয়ে দেখা যায়, খোদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের ভিতরে মেঝেতে জল জমে রয়েছে।
পরিদর্শক অফিসের কর্মীরা ওই জমা জলের মধ্যেই কিছু উঁচু জায়গায় চেয়ারে বসে কাজ করছেন। কর্মীদের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে অফিসের ভিতরে জল না জমলেও এ বার মাত্র দু’দিনের বৃষ্টিতেই বাইরের জল এসে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দফতরেরে এক আধিকারিক জানান, অফিস ভবনের পাশে একটি নতুন বাড়ি তৈরির কাজ হচ্ছে। এর ফলে এলাকার জলনিকাশি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁর আশঙ্কা, জল নিকাশির সুষ্ঠু ব্যবস্থা না হলে ভরা বর্ষায় অফিসের ভিতরের এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।