বিজেপির সঙ্গে হাতাহাতি, দাঁতনে তিরবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

পুজো নিয়ে সর্বদল বৈঠকে অশান্তি চলাকালীন তিরবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। রবিবার রাতে দাঁতন-১ ব্লকের আলিকষা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়া গ্রামের এই ঘটনায় জখম ধীরেন মাইতিকে রাতেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকেই। তৃণমূলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পাঁচ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৪ ০১:২৩
Share:

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম তৃণমূল কর্মী। নিজস্ব চিত্র।

পুজো নিয়ে সর্বদল বৈঠকে অশান্তি চলাকালীন তিরবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। রবিবার রাতে দাঁতন-১ ব্লকের আলিকষা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়া গ্রামের এই ঘটনায় জখম ধীরেন মাইতিকে রাতেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকেই। তৃণমূলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পাঁচ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের সোমবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়া গ্রামের উত্তর ও দক্ষিণ বুথ নিয়ে সর্বজনীন দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয় প্রতিবছরই। এ দিন সেই অনুযায়ী ওই পুজোর জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়। ওই দু’টি বুথে একটিতে ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম ও একটিতে তৃণমূল। তবে দু’জন পঞ্চায়েত সদস্যই মহিলা। তাই এ বছর ওই পুজোর ভার আগের পুজো কমিটির হাতে থাকবে বলেই প্রস্তাব ওঠে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। কিন্তু এর ফলে সিপিএমের ওই নির্বাচিত সদস্য কমিটিতে থাকতে পারবেন না দেখে প্রতিবাদ করে সিপিএম। আবার এখন গ্রামে অধিকাংশ সিপিএম কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তেতে ওঠে বিজেপিও। সেই সময়ই হঠাৎ হাতাহাতি বাধে তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে।

বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় বাড়ি ফেরার সময় ফের মাঝিপাড়ার কাছে দু’পক্ষের ফের হাতাহাতি বাধে। সেই সময়েই সাইকেল চেপে বাড়ি যাওয়ার পথে তিরবিদ্ধ হন তৃণমূলকর্মী ধীরেন মাইতি। তাঁর পেটে তির বিঁধে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরাই তাঁকে তির মেরেছেন। তবে এই ঘটনার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুরের নালিশ জানিয়েছে বিজেপিও। তবে এ বিষয়ে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

Advertisement

তৃণমূলের দাঁতন ব্লক সভাপতি বিক্রম প্রধান বলেন, “২০১১ সালের পর থেকেই এই এলাকায় শান্তি রয়েছে। এখন সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। এলাকা অশান্ত করতে পুজোর বৈঠকে গোলমাল করে আমাদের এক কর্মীকে তির দিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল ওরা।” যদিও বিজেপির দাঁতন মণ্ডল সভাপতি বিবেকানন্দ বিশ্বাসের পাল্টা অভিযোগ, “বৈঠক চলাকালীন তৃণমূল অশান্তি করেছিল। আমাদের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয়। এর পর ওদের গোষ্ঠী সংঘর্ষেই তিরবিদ্ধ হয় ওই তৃণমূলকর্মী।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরেই এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement